Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ব্যালেন্স হারা। আমার জীবন কাহিনীর করুন ও মর্ম বেদনাদায়ক ছোট গল্প। (ক্রমান্ময়ে সকল পর্ব।) গল্পের সকল পর্ব পড়ার ও দেখার এবং আমাকে সহযোগিতা করার অনুরোধ রইলো।

গল্পের নাম: ব্যালেন্স হারা

নামকরণের স্বার্থকতাআমার ভাগ্যআমার উপর মনেহয় অশরীরীর আক্রমণ এবং সমাজের বর্তমান আত্মকেন্দ্রীকহিংসুটে  মারমুখী পরিস্থিতি   অবস্থায় আমার নীতী হলো সত্য আমি বলবোই  সত্যের পথে অবিচল থাকবোই  তিক্ত জীবন পরিক্রমায় কেবলই মনে হয়আমি বোধ হয় ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারছি না। অথবা ক্ষুতপিপাসার তাড়না আর প্রচন্ড অভাবের মাঝে আমার কেবলই ভয় হয় আমি কি সুস্থ থাকতে পারবোআমি কি ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারবোআর তাই জাতীয় কবি কাজী নজরুলের বাঁধন হারার সাথে মিল রেখে গল্পের নাম দিয়েছি ব্যালেন্স হারা। এটি আমার নিজের (লিখকেরএকটি আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ।

ক্যাটাগরী: আত্মজীবনী।

লিখক: মুহাম্মদ আরিফ উল্যাহ

প্রকাশনায় (এডিটেবল): লিখিত আকারে গুগল ড্রাইব এর মধ্যে।

প্রকাশনায় (চুড়ান্ত ভাবে):  শুধুমাত্র Bondhon5.blogspot.com  এ সাইটের মধ্যে বাংলায় লিখিত ভাবে।

গল্পের মূল: শুধুমাত্র আমার ব্লগসাইটের মধ্যে (bondhon5) এবং প্রিন্টিং কপি আকারে হার্ডকপি হিসেবে কেবলমাত্র বাংলা ভাষায় থাকবে এবং স্বর্বক্ষেত্রে হার্ডকপিটিই হবে গল্পের মূল।

গ্রন্থ স্বত্ত্ব: লিখকের নিজের এবং শুধু নিজের কাছেই সংরক্ষিত থাকবে। গল্পের আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ গল্প অথবা গল্পের ভাষা বা ভাব পরিবর্তন করে অন্য কোন নামে বা অন্য কোন গল্পে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। যা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে। 

 

গল্পের সামারী: ভাই কর্তৃক ভাইয়ের অবৈধ সম্পদ ভক্ষণ এবং তার উপর মানসিক নিষ্পেশন জুলুমের বিষয়ে ঘটমান জীবন কাহিনীর একটি বাস্তব মুখী সংক্ষিপ্ত ছোট গল্প এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে কী বিচার হলে, তা ন্যায়বোধ হবে তা পরামর্শ আকারে উল্লেখ করণ আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবে নাইসলামের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মুসলিম সমাজের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন। সে সাথে গল্পে উল্লেখিত মজলুম ভাইটির পরিচয় প্রকৃত অবস্থা দেশ দশের কাছে সম্ভব মত উল্লেখ করণ এবং জাতীয় মানুষদের দিকে ইশারা করে মানবতার এক নগ্ন দিকের উন্মোচন।

দৃষ্টি আকর্ষণ: সম্পূর্ণ গল্পটি মোট প্রায় ৩৫টি পর্বে বিভক্ত (এর খচড়া সম্পন্ন হলেও এডিটিং অব্যাহত রয়েছে) গল্পের মূল, লিখকের নিকট শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় টেক্সট আকারে সংরক্ষিত থাকবে। গল্পের সকল পর্ব অনলাইনে প্রকাশের পর লিংক সহ বই আকারেও প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহু তায়ালা এবং যেহেতু লোকজন আমার পরিচয় জানতে চেয়েছে, তাই এতো লিখা লিখেছি; না হয় মাটিতে বসে আকাশের মতো সপ্নময় এতো লিখা আমি লিখতাম না। তাই সবাইকে বিষয়টি বুঝে নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

রিভিউজ:

 গল্পটি আমার জীবনের সবচাইতে করুন ও মর্ম বেদনাদায়ক একটি বাস্তব গল্প। যেখানে কল্পলোকের গল্প আকারে বানিয়ে কিংবা কোন মিথ্যা কথা আমি লিখিনি। ইহা এতই কষ্ট ও পীড়া দায়ক যে, যেখানে আমার নিজ রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়স্বজনের বিরোধিতা আমাকে করতে বাধ্য হতে হয়েছে। সম্মানিত ভিউয়ার গণের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা, বিষয়টি খুব খারাপ কাজ মনে হলেও, আপনারা এ গল্পের প্রত্যেকটি পর্ব  ভালো করে পড়বেন, তারপর আমার ভূল হলে বিষয়টি আমাকে বুঝিয়ে বলবেন। ইনশাআল্লাহু তায়ালা যুক্তিপূর্ণ  কথা আমি সব সময় মেনে নিবো। তবে পুরো গল্পটি না দেখে বা না পড়ে আমায় ভূল বুঝবেন না এবং আমি স্পষ্ট করেই জানিয়ে রাখছি যে, আত্মীয়স্বজন চিরকাল আমার আত্মীয় হিসাবেই থাকবে কেবলমাত্র শয়তানই আমার চিরশত্রু। আর আমার এ যুদ্ধ মূলত শয়তানের বিরুদ্ধেই। ধন্যবাদ সবাইকে।

গল্পের বিবরণ (বোডি):

১ম পর্ব (ধারাবাহিক)

 আজ থেকে ২০ বছর আগে ২০০২ইং সনে আমি আমার রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়দের বিরোধিতা করেছিলাম এবং পড়েছিলাম সকলের সীমাহীন রোষানলে। আমায় কেউ বললো পাগল হয়ে গেছি। কেউ বললো আমার সাথে জ্বীন আছে বা ফেরেশতা আছে বা ভূত আছে বা পেত্নী পেয়েছে আমায়। সবের চিকিৎসায় পরীক্ষায় বিসর্জন দিতে হলো আমার প্রায় সবকিছু। আসলে চিকিৎসা বা চিকিৎসা পদ্ধতি কোনটিই আমার জন্যে ছিলো না। তো তাদের (আমার আত্মীয়দের) জ্ঞান মতে তারা যখনই বুঝতে পারলো আমার কাছে কোন এক রত্ন রয়েছে (তাদের ধারনা মতে আমার সাথে একটি জ্বীন বা ফেরেশতা রয়েছে), তখনই আমার আত্মীয় স্বজনদের মাঝে দেখতে পেলাম স্বার্থপরতা আর অর্থগেন্ধুতার এক ভীবৎস চেহারা।  যেন আমার লিডারী করে, আমার রত্ন পেয়ে এবং আমাকে নিয়ে তারা দেবে আকাশ ফাঁড়ি। অথচ তারা আমার মন মানসিকতা স্বভাব সমষ্টির অনুরুপ ছিলো না এবং তাদের দুনিয়া প্রীতি স্বার্থপরতার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি করেছিলাম তাদের বিরোধিতা। তাছাড়া প্রত্যেক মানুষের মূল কেন্দ্র তার নিজের দিকে, ইহা স্বাভাবিক; অস্বাভাবিকতার এখানে কিছুই নেই। এছাড়াও আমি যদি তাদের বিরোধিতা না করতাম বা না করি, তবে হয়তো আমাকে শুধুমাত্র বংশের বা কেবলমাত্র পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ মানুষ সমাজবদ্ধ জীব এবং মানুষের প্রায় ৭০% কর্ম সম্পাদিত হয় পরিবেশের অনুকূলে। নিয়ম বিধাতার, নিয়ম লংঘন করা আমার দ্বারা হয়তো জীবনেও সম্ভব হবে না। যদিও কেউ যদি আল্লাহকে ডাকেন, তবে তিনি তাঁর কিতাবে বলেছেন যে, তিনি সাড়া দিবেন। কথার অর্থ এই নয় যে, মনূষ্য প্রকৃতির বিপরীত বিষয় গুলোতেও বা তার ভাগ্যে না থাকলেও সরাসরি যা চেয়েছেন তাতেই তিনি সাড়া দিবেন। হতে পারে রবের প্রতি ধরনের আপনার আমার দোয়া দরখাস্ত গুলি ভিন্ন ভাবে বা পরজীবনে আমরা পাবো; যদি আমরা মুমেন হই। আর আল্লাহু তায়ালা কেন এমনটি করেন এবং মানুষের ভাগ্যের বিষয়ে ক্লিয়ারলি সঠিক করে কিছু বলার বা সিদ্ধান্ত দেয়ার জ্ঞান ক্ষমতা কোনটিই আমার বা কোন মানুষেরই নেই। বিষয়ে মহান রবই ভালো জানেন, তাঁর সৃষ্টি তত্তের ব্যাখা কী। যেহেতু সৃষ্টিগত ভাবে মহান রব মানুষকে খুব সামান্যতম জ্ঞান দিয়েছেন। তাই যদিও মানুষ অনেক কিছুই পারছে বা পারবে; তবুও সে মানুষই অনেক কিছুই পারছে না বা পারবে না। আর আমি ব্যক্তিগত ভাবে শুধুমাত্র নিজ পরিবারের / জন মানুষের জন্য বা কেবলমাত্র নিজের জন্য জন্মলাভ করিনি দুনিয়ায়। ইহা আমার জীবনের উদ্দেশ্য নয়। জন্যেও হয়তোবা আমি করেছিলাম তাদের বিরোধিতা বা এখনো করছি। কারণ মানুষের সমাজতান্ত্রিক মানসিকতা, আত্মকেন্দ্রীকতা আর পরিবেশ কেন্দ্রীক জীবন এর বিষফল (অর্থাৎ খারাপ দিক গুলো) মানুষকে অনেক ক্ষেত্রেই করেছে স্বার্থপর এবং এক অবিচ্ছেদ্য বাঁধনে হতে হয়েছে তাদেরকে স্বজনপ্রীতীবাজ। অতএব ধরনের যে কোন অজানা কারণে আমি যখনই করলাম তাদের বিরোধিতা তারাও সকলে মিলে যে যেভাবে পারলো শুরু করলো আমার বিরোধিতা। সে এক মানবিক বিপর্যয়ের ভয়ানক করুন পরিস্থিতি। এভাবে বিরোধিতা করতে করতে যখন দেখলো আমি একধম শেষ হয়ে গেছি, তখন চিকিৎসার নামে নাঙ্গল কোট জামানস ক্লিনিকে ভর্তি করে অন্যান্য স্থানে ডাক্তার, বৈধ্য, কবিরাজ, গুণীন ইত্যাদি দেখিয়ে এবং ঔষুধ নামীয় অখাদ্য, কুখাদ্য খাইয়ে একরাজ্যের তাবিজ, তুমার ইত্যাদি লাগিয়ে খাইয়ে এবং হাসপাতাল খরচ হিসেবে আমার বৃদ্ধ বাবাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাবার কাছ থেকে নিজেদের ইচ্ছেমত, নামে মাত্র দামে ক্রয় করে নিলো আমার ভাগের জমি গুলো এবং এতে আমার চিকিৎসা নয় বরং আমার জমি গুলো কিনতে পারলো, জন্যে আত্মতৃপ্তিতে থাকলো তারা। আজও যদি আমার বৃদ্ধ বাবা বেঁচে থাকতো, তবে চিকিৎসার কথা বলে আর আমায় হাসপাতালে বন্ধী করে, আমার বাকী জমি গুলোও হয়তো নিয়ে নিতো; যেহেতু জমির মালিকানা তখন বাবার কাছে ছিলো। যেন অপরের ধন লুন্ঠন আর অত্যাচারের এক মহৌৎসব।

২য় পর্ব (ধারাবাহিক)

পূর্ব প্রকাশের পর থেকে

একজন মানসিক রুগী তার দৃষ্টিভঙ্গি ও শারীরিক উপসর্গ দিয়ে আপনার বা আপনাদের বিরোধিতা করলে, আপনি বা আপনারা পিটিয়ে তার মাথায় দাগ ফেলে দিবেন, হাত পা বেঁধে অর্ধরাত পর্যন্ত তার রক্ত চলাচল প্রায় বন্ধ করে দিবেন, (ইত্যাদি বদ ও নৃশংস আমলগুলো আমার সাথে করা হয়েছিলো) চারদিক থেকে তাকে জিম্মি করে রাখবেন এগুলো কোন যুগের বর্বরতা, আর কোন সিস্টেমের চিকিৎসা পদ্ধতি; জাতিকে এ রকম ওপেন কন্টেন্ট লিখে (যেমন এ গল্পটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিখার পুরো সময় গুগল ড্রাইবে লিখে বিভিন্ন দিকে লিংক দিয়ে ওপেন করে রেখেছি) বুঝাতে পারবেন(?) এই বাংলায় এখনো যারা এ ধরনের মনমানসিকতায় রয়েছেন? অথচ আমি উশৃংঙ্খলতার সে রকম কিছু করিনি।  তাই সমাজের অল্প কিছু মানুষের কাছে হলেও আমার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি স্বাভাবিক হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে গিয়ে জীবন থেকে হারালাম ২০টি বছর ( ২০০২-২০২১ইং পর্যন্ত)। কারণ সময়ের আগে প্রতিবাদ করলে বা ব্যাখ্যা দিলে হয়তো কেউ বুঝতে পারবে না এবং এ জন্যে আমার প্রায় সম্পূর্ণ সহায় সম্পত্তি হারিয়ে আজ এতোদিন পর মনে হলো সময় এসেছে মনে হয় আমার পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করে দেশ-দশের মানুষকে বুঝিয়ে দেয়ার। অন্তত আমি কেন নিজ জীবন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বিরোধিতা করলাম এবং এখনো করছি; আর কেনইবা এ কষ্টের জীবন আমাকে গ্রহণ করতে হলো। কারণ আত্মীয় স্বজনের বিরোধিতা করা ইহা কোন সাধারণ ঘটনা নয় বা ছিলো না। তাই সকলের বিভিন্নমূখী প্রশ্নের উত্তর প্রদানের লক্ষ্যে এ লিখায় এ বাস্তব গল্পের বিবরণ বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরছি এবং আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এ জন্যে যে, গল্পের মূল মর্মবাণীটি স্বাভাবিক ভাবে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা:) এর বাণীর প্রতি অসম্মান স্বরুপ (যেহেতু উনার,সা: বাণীটি এ রকম ছিলো, আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে যাবে না) ও বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ার কারণে। তাছাড়া গল্পটি একটু দীর্ঘ করে লিখা। পারিপার্সিক ও আনুসাঙ্গিক বিষয় সহ আমার নিজের পরিচয় দিতে গিয়েও ব্যাখ্যামূলক ভাবে লিখতে হয়েছে এ গল্প। তাই ধৈর্যের বাঁধ না ভেঙ্গে এ গল্পের প্রত্যেকটি পর্ব ভালো করে পড়ার এবং এর মর্মবাণী বুঝার বিনীত অনুরোধ রইলো। যেখানে আমি আবহমান বাংলায় ও প্রায় বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগীদের সাথে কী রকম ব্যবহার করা হয়েছে বা হচ্ছে তার একটি সাধারন নমুনা দেখানোর চেষ্টা করেছি। সে সাথে সকলকে বিশ্বের এ ধরনের নীপিড়িত, নির্যাতিত ও নিজ আত্মীয় দ্বারা সহায় সম্পদ কেড়ে নিয়ে মজলুমে পরিণত হওয়া ভাইদের এ ধরনের বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করে এবং বিষয়টি বুঝে আসলে তাহলে আমাকে আর মানুষের ক্ষতিকারক হিসাবে বিবেচিত না করে, বরং উপকারী বন্ধু হিসাবে বিবেচনা করার জন্য ও এ বিষয়ে আমাকে আর উৎপীড়ন না করার জন্য চারদিকের সকল মানুষের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করছি। কারণ আপনাদের জানা উচিৎ আমি কিন্তু কোন উশৃঙ্খল কাজ বা কথা মহান আল্লাহু তা’য়ালার রহমতে আমার এ বয়সেও বলিনি এবং এখনো বলছিনা; আর ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা ইন্তেকাল পর্যন্তও হয়তো বলবো না বা কোন ধরনের অশোভন কাজ করবো না। যেহেতু আপনারা দেখতে পেয়েছেন, আমার আত্মীয় স্বজনের সাথেও গত বছরের (২০২১ইং) রমজানের আগ পর্যন্ত গত এ ২০ বছর সময়েও আমি কোন ধরনের প্রতিবাদও করিনি। অথচ আমি সুস্থ ছিলাম। এ সময়ে আমি বিয়ে করেছি, আমার সন্তান সন্ততি রয়েছে, চাকুরী বাকুরী করেছি, অনলাইনে আমার অনেক গুলো কাজ কর্ম রয়েছে। করোনা কালীন প্রায় ১৬ মাস একটাকাও বেতন না পেয়ে, আমি আমার বেসরকারী পলিটেকনিকে শিক্ষকতার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করছি। তাছাড়া সমাজের মানুষদেরকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছি, বন্ধন ফাউন্ডেশন নামক সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। যার অফিস রুম দিতেই ব্যয় করেছি প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। অতএব ইহা সুস্পষ্ট যে, আমি এবনরমাল কেউ নই। বরং গত ২০ মাসেরও বেশী সময় ধরে আমার ৪ শিশু সন্তানকে নিয়ে একটাকা ইনকাম না করেও আপনাদের সাথে সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলছি। আর যদি আপনি মনে করেন যে, আমি অসুস্থ; তাহলে আপনিই বলুন, অসুস্থ ব্যক্তি কী করে বই লিখে, কী করে কম্পিউটার চালায়, কী করে উপরে উল্লেখিত ভাবে জীবন চালায় এবং একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে ও জটিল, কঠিন হিসাব পরিচালনা করে বা সংরক্ষণ করে? দেখেছেন কি এ রকম অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে এ ধরনের কাজ গুলো করতে? তাহলে আপনি কোন  যুক্তিতে আমাকে মানসিক রুগি বলে, সব দোষ আমার ঘাড়ে চাপিয়ে, তাদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন? এক্ষণে, যারা আমায় অশরীরী ভাবেন, তাদেরকে আমি এ বলে  বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আপনারা বাকী দশ জনের সাথে যে ব্যবহার করবেন, আমার সাথেও ঠিক সে ব্যবহারটিই করবেন। কারণ আমি মানুষ ছাড়া আর কিছুই নই। আমি মানুষ। কষ্টের বিষয়ে আপনাদের যেমন কষ্ট হয়, আমারও ঠিক তেমনি কষ্ট হয়। আমার সাথে কিছু একটা আছে বা আমার মতো এ ধরনের ভাইদের সাথে কিছু একটা আছে, এ জন্যে চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে মনগড়া কূচিকিৎসার রোলার চালাবেন বা নরমালি সমাজের মানুষগণ অস্বাভাবিক বা যা তা ব্যবহার করবেন, এ গুলো কোন মুমেন বা ভদ্র বা শিক্ষিত জাতির কাজ নয় বা এ গুলো কোন যুক্তি যুক্ত বিষয় নয়। অতএব আমি আশা করবো আমার মতো এ ধরনের ভাই বোনদেরকে নিজ বাড়ি থেকে না তাড়িয়ে দিয়ে বা তাদের নিজেদেরকে নিজ বাসভূম থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য না করে ভালো ব্যবহার করবেন। বুঝে শুনে ব্যবহার করবেন। কোনটি চিকিৎসা, আর কোনটি চিকিৎসা নয় বরং ধান্দাবাজি,ছলনা আর টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপকৌশল, এগুলো চিন্তাভাবনা করে বা এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে তারপর তা আমলে নিবেন।

৩য় পর্ব (ধারাবাহিক) 

(পূর্ব প্রকাশের পর থেকে)

 অন্যদিকে আমাকে যদি আপনারা অশরীরী কিছু একটা বিবেচনা করেন, তাহলে আপনাদের সাথে বাঁচতে হলে আপনাদেরকেও অশরীরী কিছু একটা হতে হবে। কারণ মানুষের সাথে মানুষের ব্যবহার। আর অশরীরের সাথে অশরীরের ব্যবহার। নতুবা আপনাদের সাথে চলতে গিয়ে আপনাদের অনুমান, ধারনা ও ব্যবহারের কারণে আমাকে হয়ত হাত পা গুটিয়ে অথবা অস্বাভাবিক আর অসমাঞ্জশ্যশীল আচরণ করে বসে থাকতে হবে, নতুবা এর গত্যন্তন্তর কিছু থাকবে বলে আমার আর মনে হয় না। তাই আমার সাথে বাকি দশ জনের মতই ব্যবহার করুন। আপনাদেরকে আরো একটি বিষয়ে জানাচ্ছি যে, মাইন্ড করবেন না যা সত্য তাই বলছি, আমার ভাই (শরীফ) আমাদের বাড়ির দু’দিকের দু’টি মসজিদেরই ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব পরিচালনা করতো এবং অন্যান্য সামাজিক কাজে জড়িত ছিলো। ফলে আমি কোন দিকের মানুষের কাছেই ঠাঁই পেতাম না, স্বাধীন ভাবে সম্মানের সহিত যেতে পারতাম না মসজিদে। কিন্তু এবার আমাদের দক্ষিণ দিকের মসজিদ (এটি আমাদের সামাজিক মসজিদ) থেকে তাকে চলে আসতে তাকে বাধ্য হওয়ায় বা তিনি চলে আসার পর অলহামদুলিল্লাহ আমি দক্ষিণ দিকের এ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলাম এবং দক্ষিণ দিকে যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করলার। অথচ অল্প কয়দিন আগেই উত্তর দিকের মসজিদে আমি যখন এতেকাফে ছিলাম, তখন আমার ইবাদতকে আপনারা অনেকে উপহাস করলেন, ইমাম সাহেব সহ বিভিন্ন ভাবে আমাকে খাটো করে রাখলেন, ঘরের পাশে ঘরে যাকাত না দিয়ে ঈমাম সাহেব সহ জাকাত দিতে এলেন মসজিদে। বিভিন্ন মনোভাব আর দৃষ্টিভঙ্গির মাঝে আমায় করলেন অপমানিত। এতেকাফ শেষ হওয়ার পর প্রায় রোগি অবস্থায় মসজিদ কমিটির সভাপতি আমাদের এলাকার স্বনাম ধন্য মুফতি সাহেবের নিকট এর প্রতিবাদ স্বরুপ বিচার দাবি করে দিলাম দরখাস্ত। আর মুফতি সাহেব আমাকে একবারের জন্য বলেনওনি যে, আরিফ সাহেব এটি কী দিলেন, কেন দিলেন, কী হয়েছিলো?  তাহলে ইহা সুস্পষ্ট নয়, আপনাদের ইসলাম আজ গ্রুপিং আর সমাজ নির্ভর ইসলাম? আরব তান্ত্রিক বা সত্য নির্ভর ইসলাম নয়? এবার ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসেবে মানুষের বাড়িঘর এর লোকেশন জানিয়ে ইউটিউবে উত্তর দিকের মসজিদ ও এ সংলগ্ন বাড়ি গুলোর একটি ভিডিও আপলোড করি, যাতে দূর দূরান্তের মানুষ গণ সহজে লোকেশানটি চিনতে পারে। কিন্তু দু:খের বিষয় একটি লোক আমার ভিডিওটিতে একটি লাইকও দেয়নি। আজ যদি আমার ভাই এ মসজিদটির দায়িত্ব পালন না করতো বা মসজিদের এ হুজুরটি না থাকতো তবে হয়তো অনেকেই লাইক, শেয়ার ইত্যাদি করতো। তাই অপনাদের নিকট জানতে ইচ্ছে হয়, আপনারা কি আসলে সত্যকে অনুসরণ করেন বা ভালোবাসেন (?) না আপনাদের সমাজকে বা আপনাদের গ্রুপকে? তা না হলে আমার দোষ কোথায় বলুন? আমি যে কাজই আরম্ভ করি, আপনারা আমার বিরোধিতা করেন। আত্মিয় স্বজনের বিরোধিতা করা ইহা খুব খারাপ কাজ তা আমি জানি, কিন্তু আমি কি তা স্বজ্ঞানে করেছিলাম? আর অজ্ঞানে করলে, রোগ অবস্থায় করলে, আমার ভদ্র আত্মীয়রা বুঝি সে অবস্থায় আমার বিরোধিতা করবে এবং করতেই থাকবে। আর বিরোধিতা করতে করতে আমায় রোগি বানিয়ে হাসপাতালে পাঠাবে এবং হাসপাতালে পাঠিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত দামে আমার জমিগুলো নিয়ে নিবে ও পরবর্তীতে আমি যে কাজই ধরি না কেন, আমার শুধু বিরোধিতা করবে, আমায় উঠতে দিবে না। কারণ আমি যে তাদের জন্য হুমকি! যা তারা রোগের সময় দেখেছে! প্রকৃত প্রস্তাবে মানুষ কি মানুষের জন্য হুমকি হতে পারে? কষ্মিককালেও না। কখনোই না। অথচ আমার বিপরীত বিশ্বাস তাদের, যা আমি বুঝতে পারলাম। তাহলে আমি এ রকম একটি পিয়োর বিশ্বাসী হয়ে আর কত কাল আমি কষ্ট করবো? কতকাল আমাকে আপনারা দূরে রাখবেন? আমার এখন ঘরে বাজার নেই। পকেটে টাকা নেই। ৬ জন সদস্যের এবং আম্মা সহ ৭ জন সদস্যের পরিবার আমার। তাহলে অন্যায় না করেও আমি অন্যায় করেছি বলতে হবে? কে কার কাছে নত হবে? কে কার কাছে নত থাকবে? কোনটি যুক্তিযুক্ত? অত্যাচারিত বুঝি অত্যাচারির নিকট ক্ষমা চাইবে? না হয় সে ভাত পাবে না!? চারদিক থেকে আপনারা বুঝি তার খাদ্য বন্ধ করে দিবেন? দয়া করে একটু বুঝিয়ে দিবেন কি? আর আমি আমার ভাইদের নিকট প্রতিদিন ১০০ বারও যদি ক্ষমা চাই, তাহলেও কি তারা আমায় সম্মানজনক কিছু একটা করি, তা তারা মেনে নিবে? কারণ অসুখের সময় তারা যে দেখেছে, আমার রক্ত তাদের মতো নয়? আমি শক্তিমান হলে, তবে আমি যে তাদের জন্য হুমকি!! এক্ষেত্রে গুগল, ইউটিউব ও ফেসবুক সহ বহির্বিশ্বের ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা আমার লিখা বা ভিডিও প্রকাশ অব্যাহত রাখবেন। আমি কোন স্বজনপ্রীতীর ধার ধারীনা। ভবিষ্যতে আমার কিছু লিখা আপনাদের পক্ষে লিখতে হবে। যেহেতু ইনশাআল্লাহু তা’য়ালা আমি সত্যের ধারক ও বাহক। যা আমি আগাম জানিয়ে রাখলাম। তাই আপনাদের নিকট একটু সুযোগ প্রার্থনা করছি। আর এ গল্পটিও আমি প্রকাশ করতাম না। যেহেতু আমি চারদিকে অবহেলিতই থাকছি, যে কাজই করিনা কেন, আপনারা আমায় সমর্থন দেন না বা সম্মান করেন না। নিজের এলাকার মসজিদেই যখন যেতে পারি না, নিজ এলাকার মানুষ গণই যখন আমাকে সম্মান করছে না। তাই এতো মান সম্মানের চিন্তা করে আর লাভ কী? অতএব সিদ্ধান্ত নিয়েছি গল্পটি আমি ব্যাপক ভাবে প্রকাশ করবো এবং জীবন স্মৃতি হিসেবে ইহা সংরক্ষিত রাখবো। তাছাড়া আমি আজ অভূক্ত। অথচ আমার ভাই গং গণের এ বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। আমাকে অভূক্ত রেখে আমার ভাই বর্গ গণ পেট পুরে খেয়ে তৃপ্তি  অনুভব করছে এবং স্বাচ্ছন্দে জীবন চলছে; আমার এ অবস্থায়ও তারা আমার দিকে কোন সহানুভূতির হাত বাড়ায়নি, বরং সমাজের কিছু লোক আমায় সাপোর্ট দেয়ায় তাদের হিংসার মাত্রা যেন আরো বেড়েই চলেছে। অতএব একদিকে যেমন আমার দূর্বলতা হলেও এ গল্পটি আমি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঠিক অপর দিকে সম্মানিত পাঠক বর্গের নিকট আমার অনুরোধ থাকবে, দয়া করে আপনারা আমার ভাইদেরকে এ সংবাদ পৌঁছিয়ে দিবেন যে, তারা এবং তাদের ওয়ারিশ গণ কেন আমায় এভাবে অবহেলা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, হিংসা, অপমাণ আর আমার যে কোন কাজে অসমর্থন মানে এর বিপরীতার্থে বিরোধিতা করলো এ জবাব রেডী করে তারপর তারা যেন দুনিয়া থেকে পরজনমে পা বাড়ায়। কারণ আমি ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা সেখানে জানতে চাইবো কেন আমি অবহেলিত আর অপমাণিত হলাম এবং একজন আলেমের কাছ থেকেও আমি জানতে চাইবো, কেন তাদেরকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে অপমাণিত করলেন আপনি। আমার কাজ গুলো কি ভালো ছিলো না? কেন রমজানের শেষ দশকে আমার ইবাদতকে আপনারা করলেন উপহাস? এ ইবাদত কি কোন পাগলের ইবাদত ছিলো? মুসলিম সমাজে ইবাদতকারী হবে সম্মানিত, অথচ আমি হলাম উল্টো অপমানিত? এটি কেন হলো? সারা জীবন রমজানের শেষ দশক এতেকাফ করার নিয়ত কেন ছাড়তে হলো আমাকে? আর এতে যদি আপনারা দোষী হন, তবে মহান আল্লাহু তা’য়ালার বিচারে তাঁর নিকট আমি এ আর্জি পেশ করছি যে, আমার সারা জীবনের এতেকাফের যে নিয়ত করেছি, এ এতেকাফের সাওয়াব তাদেরকে আমায় দিতে হবে এবং এ ঘৃণ্য কাজ করতে গিয়ে তারা যে মসজিদকে অপমাণ করেছে এ অপরাধের শাস্তি তাদেরকে পেতে হবে।  (এতেকাফে আমাকে আপমানের বিষয়ে আমার ওয়েবসাইট অর্থাৎ এ সাইটেই মসজিদ পরিচালনা কর্তৃপক্ষের নিকট বিচার দাবী করে আরেকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত রয়েছে।) সম্মানিত পাঠক বর্গকে সামান্য একটু ইঙ্গিত দেই, আমিতো প্রতিবাদ করেছি মাত্র অল্প কয়দিন হলো, আমার ভাই গং দের হিংসার মূল আরো অনেক পূর্ব থেকে। অনেকদিন আগে আমি একটি দোকান দিয়েছিলাম, আমার বড় ভাইকে অনেক রিকোয়েস্ট করেও আমার দোকোনে নিতে পারিনি, আমার দোকান থেকে তিনি কোন বাজারও করতেন না। পর পর প্রায় ১০ বছর আমি সুন্নাত এতেকাফ করেছি, কিন্তু আমার ভাই গণ কোন বারই আমাকে মসজিদে দেখা করতে বা কোন ভালো ব্যবহার করতে যায়নি। মুসলিম সমাজে ভাই ভাইয়ের সম্পর্ক কি এ রকম হওয়ার কথা ছিলো? তখনতো আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম না? তাদের অতীত ব্যবহার গুলো কি হিংসার স্মারক বহন করে না তাহলে? সম্মানিত পাঠক বর্গ যদি এ গল্পের সকল পর্ব ভালো করে পড়েন, তাহলে ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা সবই জানতে পারবেন। তাই অনুরোধ, এ গল্পের সকল পর্ব পড়বেন।

৪র্থ পর্ব (ধারাবাহিক) 

(পূর্ব প্রকাশের পর থেকে)

দেখুন, আমার লিখাটি একটু গবেষণাধর্মী এবং যেহেতেু ইহা বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে মিল করে লিখিত, তাই এতে লেখ্য ও কথ্য, আঞ্চলিক ও স্ট্যান্ডার্ড ভাষার এবং গল্পের প্রাসংঙ্গিক ও নিকটতম অপ্রাসংঙ্গিক বিষয়ের কিছুটা সংমিশ্রণ থাকতে পারে এবং থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই মূল বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা না করে এ গল্পের শুধু ভাষা পড়লে মূল বিষয়টি হয়তো নাও বুঝা যেতে পারে বা অগোচরে থেকে যেতে পারে। তাছাড়া এ বিবৃতিটি সব লেবেলের মানুষের জন্য বিধায় এর কিছু লিখা কবি সাহিত্যক, কিছু লিখা জতির্বিজ্ঞানী, কিছু লিখা পদার্থ বিজ্ঞানী, আবার কিছু লিখা আলেম সমাজ বা জ্ঞানবান ব্যতিত সাধারণ লোক হয়ত বুঝবে না। এছাড়া এটি এমন একটি গল্প যা বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে তাল মিলিয়ে লিখতে হয়েছে। ফলে কখনো এক বিষয়ে লিখতেছিলাম, কিন্তু মানুষের যন্ত্রণার কারণে বা উপস্থিত কারো পরামর্শের কারণে ঐ সময়েই অন্য বিষয়ে লিখতে হয়েছে বা লিখাটা একান্তই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এ জন্যে লিখার ধারাবাহিকতা হয়তো আপনাদের কারো কারো কাছে অসামঞ্জসতা মনে হতে পারে; কিন্তু বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর সাথে মিল রেখে যদি কোন কিতাব প্রণয়ন করা হয় বা গল্প লিখা হয়, তবে তার ধারাবাহিকতা সম্পূর্ণ রুপে রক্ষা করা কখনই সম্ভব হয় না। এ বিষয়টি মহাগ্রন্থ আল কোরআনের দিকে দেখলেও বুঝা যেতে পারে। তবুও চেষ্টা করেছি পূর্বাপর যথা সম্ভব ভাব ও ভাষায় মিল রেখে লিখার জন্যে। তাছাড়া বর্তমান সময়ের এডুকেটেড বাঙ্গালীদের মনের ভাব প্রকাশে তারা যথেষ্ট ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করছেন। গ্রাম বাংলার বাঙ্গালী ভায়েরা, রক্তচক্ষু দেখাবেন না! বলুন, আপনি বললেন, কেমন আছ? আমি বললাম টেনশন লাগছে। দেখুন টেনশন শব্দ ব্যবহার করে, আমি যে ভাব প্রকাশ করতে পেরেছি বাংলা ভাষার কোন শব্দ বলে আমি সে ভাব প্রকাশ করতে পারবো না। এ রকম হাজারো ভাব আছে, যে গুলোতে আমার মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভায়েরা আমার বাংলা ভাষার শব্দ ব্যবহার করতে পারে না। তাছাড়া এ ভাষায় সাধু চলিত, নত্ব বিধান, ষত্ব বিধান, স্বর চিহ্ন ইত্যাদি নিয়ে যে জটিলতা অন্য কোন ভাষায় এ রকম আছে কিনা তা আমার জানা নাই। তার উপর আধুনিকতার ছৌঁয়ায় এবং প্রয়োজনের তাগিদে বাঙ্গালীগণ ইংরেজী ভাষার দু’চারটি শব্দ না বলতে পারলে বা বাংলা ভাষা থেকেও এডুকেটেড সিস্টেমে কথা না জানলে বা না লিখতে পারলে, তাহলে সবাই মিলে, আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভূলিতে পারি এ অমর বাণীকে যতই ভালোবাসি; তারপরও সকল শ্রেণী ও বিষয়াবলীর দিকে খেয়াল করে এভাবে লিখতে হয়েছে। আর আমি কিছু পারি না, বুঝি না ইত্যাদি বলে গ্রামের মানুষ গুলো আমার ভাইদের মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক এবং প্রাণঘাতি গীবত, চোগলখুরীতে আমাকে এক অদৃশ্য তালা লাগিয়ে রেখেছে। অথচ তারাই আমার ভাষা, জ্ঞান ইত্যাদি বোঝার কোন ক্ষমতা রাখে না। সে জন্যেও সকল লেবেলকে বোঝানোর স্বার্থে আমি প্রবন্ধটি এভাবে বিবৃত করে লিখেছি।  তাই বিষয়টি স্বাভাবিক মনে করে এবং কোথাও না বুঝে থাকলে শুধুমাত্র তখন আপনার জ্ঞানের পরিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কিছুর ব্যাখা বা ভূল সংশোধনের জন্য আমার নিকট জানতে চাইতে পারেন। যেহেতু আমি ভূলের উর্দ্ধে নই। কারণ আমি আত্মীয় স্বজনকে বিরোধিতার মতো এ রকম একটি জঘন্য কাজ করেছি। ভাবিনি কখনো নিজ আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে লিখে তা স্যোসাল মিড়িয়ায় প্রকাশ করতে হবে। এটি আমার জন্য অপমাণ! বেদনা দায়ক (!) এবং একজন মুসলিম হিসেবে যা আমার জন্য লজ্জ্যাকর। কিন্তু কী করবো, যেদিকেই যাই, মানুষ আমায় প্রশ্নবানে জর্জরিত করে, এতে আমি ক্ষত বিক্ষত হই। মস্তিষ্কে আমার রক্তক্ষরণ হয়। হ্নদয় ভেঙ্গে হয় চুরমার। মস্তক অবনত করতে হয় বার বার। আত্মীয় স্বজনের সাথে বিরোধিতা!? এতো স্বাভাবিক বিষয় নয়? কেউ কোন দিন আত্মীয় স্বজনের বিরোধিতা করে নাকি! (মুনাফেকি করে আর কি! এ যেন আধুনিকতার অপব্যবহারকারী ন্যাৎসি, ফ্যাসিবাদ আর মীরজাপর  মুনাফেকের আরেক রুপ! মুখে আন্তরিকতা, আর অন্তরে হিংসা! সামাজিক ভাবে গলায় গলায় আত্মীয়, সোনায় সোহাগা! আসলে একটা আস্ত মুরতাদ!! এই বুঝি আল কোরআন!! এই বুঝি নেয়ামতের শুকরিয়া! শুধুই আলহামদুলিল্লাহ!! যে যত বেশী আলহামদুলিল্লার তাসবীহ্ যফবে সেইই আগে বেহেশতে যাবে! ভাই প্লিজ মাইন্ড করবেন না! ২০ বছরের যন্ত্রণায় আজ সাদা জিনিস কালো দেখায়, অন্ধকারতা আলো। নিরবে ভাবী কবি সাহিত্যিক গণ এত আগে কোন অর্থে এ ধরনের বাণী বা কবিতা লিখেছিলেন এবং হয়তো কোন প্রেসারে প্রকাশ করতে পারেননি যার মর্মার্থ।  তাই নিজ বংশীয়, পারিবারিক এবং সাম্প্রদায়িক অসম্মানের ভয়ে কোন দিন কাউকে কোন কিছু বলিনি। নিরবে সহ্য করেছি প্রায় ২০টি বছর (২০০১ইং হতে ২০২১ ইং পর্যন্ত)। কিন্তু এভাবে কন্টিনিউ সহ্য করতে থাকলে, তাহলে আমার যে ক্রিয়েটিভিটি তা তো হারিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষের প্রশ্নের কোন সদুত্তর তো আমি দিতে পারলাম না। সে সাথে তাদের কাছ থেকে আমার হক আদায় অর্থাৎ যে কারো উপর আমার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা তো বিনষ্ট হয়ে হচ্ছে।  তাই আজ হুমায়েন আহমদের সুরে সুর মিলিয়ে লিখতে হচ্ছে ও বলতে হচ্ছে আমার এবং শঙ্খনীল কারাগারে আবদ্ব হাজারো মুক্তিকামী জনতার শৃঙ্খলের বাণী। আর তাই, আজ আমি বিদ্রোহী! আমি দূর্বার! আমি করিব সব চুর্মার! ওরে আনোয়ার! সামলা যত সব জানোয়ার! আমাকে খারাপ ভাবিসনে! বাংলার স্বাধীনতা থেকে শিক্ষা নেয়। ৩০ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, এটি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিনতা! আর এভাবে যদি ত্যাগ স্বীকার করতে পারিস, তবেই পাবি প্রকৃত সুখ! তবেই হাসবে সে সূর্যতা.......  

তাছাড়া বিষয়টি একটি পারিবারিক, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সমস্যা। আর তাই যেহেতু নিজের ইচ্ছায় হোক (আমার পক্ষ থেকে ইহা অনিচ্ছায় এবং ক্ষত-বিক্ষত হওয়ার পর) বা অনিচ্ছায় হোক (তাদের পক্ষ থেকে জেনে-বুঝে, তবে জ্ঞানের কালিমায় ও লোভের তাড়নায়) যেহেতু ঘটনাটি ঘটে গেছে এবং এটি পুরো সমাজ ও শহর পর্যন্ত গড়িয়েছে (তারাই গড়িয়েছে) তাই মেীখিক ব্রিফিং দিয়ে আমি সকলের জানতে চাওয়ার উত্তর দিতে অক্ষম বিধায় অত্যন্ত দু:খের সহিত আমার এ নাজুক পরিস্থিতে আজ কলম ধরতে বাধ্য হলাম এবং আজ ২০ বছর পরে (২০০১ ইং হতে ২০২১ ইং পর্যন্ত) আমি এর প্রতিবাদ করলাম। আশা করি আমায় ভূল বুঝবে না। কারণ বিষয়টি বুঝিয়ে দেয়া আমার পক্ষ থেকে একান্তই প্রয়োজন, যদিও এতো দিন তাদের পক্ষ থেকে দেশ দশের মানুষ এ বিষয়ে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে বিভিন্ন ব্রিফিং পেয়েছে। তাই সকল শ্রেণীর উদ্দেশ্যে প্রদান করা এ লিখার পুরোটা না বুঝতে পেরে (আপনার প্রয়োজন না হলেও) অথবা আমাকে অযথা বা উদ্দেশ্যমূলক  প্রশ্ন করে আর কষ্ট দিবেন না। বন্ধুরা! অনুরোধ থাকলো আমার এ বেদনাদায়ক জীবন সম্পর্কিত গল্পটি, একটু পড়বে। কারণ এটি একটি মানবতা বিরোধি অপরাধ ‍ও সাম্প্রদায়িক ডিমোশান।

৫ম পর্ব (ধারাবাহিক) 

(পূর্ব প্রকাশের পর থেকে)

তো শুন আমার একবার মানসিক রোগ হয়েছিল (মানসিক রোগ বললেই ক্ষেপে যেওনা বা অপমানে জর্জরিত করো না;একটি নির্দিষ্ট সময় পর শিশুরা যখন বিছানায় পেশাব করে, এটিও এক ধরনের মানসিক রোগ। তো তোমার ছেলে হওয়ায় বিষয়টি বুঝলে এবং ছেলেকে ভালো বাসলে; আর আমি পর হওয়ায় বাঙ্গালী মায়ের বাংলা ভাষার এ শব্দটিকে কেন এতো অপমান করবে?)। এ রোগের সঠিক ব্যাখ্যা আমার জানা নেই। কারণ সিজেপ্রানিয়া এটি একটি ক্রোনিক ডিজেজ। এর ঔষধ সারা জীবন খেতে হয়। কখনো বন্ধ করা যায় না। অথচ আমি প্রায় গত ৫ বছরেরও বেশি কোন ঔষধ খাই না এবং শত অত্যাচার ও লাঞ্ছনার মাঝে যা করছি, তা সুস্থ সবল মানুষের দ্বারাও অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। তবে এ ক্ষেত্রে তোমাদের প্রতি বিশেষ একটি অনুরোধ, যেহেতু আমি সহ মানুষ তার চারদিককে তার নিজের মতো বুঝতে পায়, তাই আমার এ দূর্বল অবস্থায়, আমার সাথে খুব বেশি কথা বলবে না, শুধু প্রয়োজনীয় কথা বলবে বা অবস্থা বুঝে দেখাও কম দিবে। কারণ বুঝতেই পারছ, চারদিকের বিভিন্ন মন-মাইন্ডের মানুষগুলো আমার ভাষার ভাবার্থ যে যার মতো বুঝে নেয়। আর তাই হ্নদয় দিয়ে করবে আমায় আপন। এ ক্ষেত্রে তুমি আমার যে সম্পর্কেরই হও না কেন, যদি তোমাকে আমি হ্নদয়ে  স্থান দিতে পারি , তবে তোমরা সকলেই আমার বন্ধু। আর আমাকে যে ভালোবাসবে, তাকেই আমি ভালোবাসবো। সে যে ধর্মের বা যে দলের বা যে বর্ণের বা যে শ্রেণী পেশারই হোক না কেন। কারণ এ পৃথিবীতে আমার মূল কার্য মানুষকে ভালোবাসা এবং মানুষের সেবা করাকেই আমি নির্বাচন করেছি। তবে ইসলাম ধর্মের বিপরীত কোন কার্য আমি করতে পারবো না। প্লিজ, এতে আমাকে বা আমার ধর্মকে তোমরা ভূল বুঝনা।


 ভায়েরা, আমার এ রোগটির সময় নিজের অজান্তেই আমি আমার ভাই, ভাবি এবং আত্মীয় স্বজনের বিরোধীতা করেছিলাম। মানুষের জাগতিক ব্রেন যদি অচল হয় বা যদি অচল করে দেয়া যায়, তখন ঐ মানুষটির প্রকৃত বৈশিষ্ট্য চেনা যায়। আর আমি কেন বিরোধীতা করেছি এর সঠিক ব্যাখ্যা আমার জানা নেই। ইহা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন, কেন তিনি আমায় এ রকম করেছিলেন। তখন আমি শুধু লম্বা লম্বা নামাজ পড়তাম, দীর্ঘক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করতাম। বেশী বেশী জিকিরে লিপ্ত থাকতাম। মাসনূন দোয়া প্রায় সবগুলোই পড়তাম। আমাকে আমার ভায়েরা এ ধরনের দীর্ঘ নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও মাসনূন দোয়া পাঠে অপমানের সহিত বাধা দিতো। কিন্তু আমার জেহাদ চলতে থাকলো। একে একে দাঁড়ি রাখলাম, টুপি পরা শুরু করলাম। প্যান্ট-শার্ট ফেলে দিয়ে পায়জামা-পাঞ্জাবী-জুব্বা ধরলাম। সুন্নতী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে থাকলাম। অন্য দিকে মানুষকে পজিটিভলি সাপোর্ট দিতাম না। কাছের লোকদেরই বিরোধিতা করতাম বেশী। দুনিয়াবী সিস্টেমে নিজ স্বার্থ চিন্তার এ অংকটি অবশ্য আমি করতে পারিনি। আমি বুঝতে পারিনি যে, দুনিয়ায় সবাই শুধু নিজ স্বার্থ চিন্তা করে। তাই অপরের মন বুঝতে পারে না বা তাকে বিশ্বাস করতে পারে না অথবা অপরকে হ্নদয় দিয়ে ভালোবাসতে পারে না অথবা কারো কোন নেগেটিভ এ্যাটিচূডকে কেউ মেনে নিতে পারে না; সে একান্তই নিকট আত্মীয় হলেও। আর তাই আপন জনের সাথেও পরের মতোই ব্যবহার করতে হয় আমাদেরকে। না হয় সেও শুধুই বেড মাইন্ড করে। বর্তমান সমাজের মানবীয় সম্পর্কের এ লিমিটেশান আমার লোপ পেয়ে ছিলো। তাই   আমি না বুঝে আমার আপনজনদের প্রায় সকলেরই বিরোধীতা করেছি। আসলে আমি তাদেরকে আরো ভালো ভাবে দেখতে চেয়েছিলাম মনে হয়; তাদেরকে অনেক ভালোবাসতাম মনে হয়। এ সময়ে সবাইকে মসজিদে যেতে বলতাম আমি। আর তারা আমার মৌলিক কালচার তাদের বিপক্ষে বা তারা কখনোই আমাকে তাদের থেকে উন্নত এ বিষয়টি মানবে না বা মেনে নিতে পারবে না, ইহা বুঝতে পেরে (অর্থাৎ এদেরকে ভালো বলে সাপোর্ট দিইনি। কিন্তু এরা নিজেদেরকে ভালো মনে করতো অথবা তারা  হয়তো বুঝতে পারলো যে, তারা আমাকে পাবে না। তাহলে আমাকে কি আর ভালো বলা যায়? আর তাই শুরু করলো আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে........ এতে যখনই যার বিরোধীতা করেছি (ইশারা-ইঙ্গিত ও ভাব গাম্বির্জে)….., আমিতো অনেকটা বেহুশ ভাবেই করেছি, কিন্তু তারা প্রকৃত ভাবেই করেছে, কারণ তারা আমার বিরোধিতা করলেও আমি যে তখন সত্যাশ্রয়ী ছিলাম, এ কথা তারা বিশ্বাস করেছিলো) আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিকৃত, অপ্রাসঙ্গিক শব্দ বাজিয়ে, বিভিন্ন অপমানজনক কথা শুনিয়ে, আমার মাথা আরো অচল করে দিয়েছে। একজন মানুষের যে কোন কথায় বা কাজে যদি আন্তরিকতা বিহীন সারাক্ষণ উদ্দেশ্য খোঁজা হয়, যদি সারাক্ষণ নজরে রাখা হয় তাকে বা হিংসাত্মক ভাবে বা নিজ স্বার্থ চিন্তায় বা স্বীয় স্বার্থ ভয়ে তাকে সর্বদা বিভিন্ন ভাবে ব্যতি ব্যস্ত রাখা হয়, তাকে যদি কেউ ভালো না বাসে আর সবাই মিলে তা উপভোগ করে বা গ্রুপিং বা স্বার্থের কারণে কেউ কিছু বলেও না এবং সে সাথে সমাজে রটিয়ে দেয়া হয় আমার ক্ষতি হবে বা আমি উন্নতি হারাবো বা অপমাণিত হবো এ ধরনের কথা, তাহলে আমার মতো এ রকম গরীব, সরল ও নি:স্ব মানুষ কি আর সুস্থ থাকতে পারে? [এখানে একটি কথা বলে রাখি, আমি যে উপরে বলেছি, মানুষের জাগতিক ব্রেন অচল করে দিলে, ঐ মানুষটিকে চেনা যায়; তার মানে এই নয় যে, ঐ মূহুর্তে সে কোন ভবিষ্যতদ্বানী করলে তাতে বিশ্বাস করা যাবে। আবার এর চাইতেও বড় সত্য হলো মানুষের মন ও ব্রেন পরিবর্তনশীল। আর তাই, কারো বিষয়ে তুমি যা দেখবে (অবচেতন বা বাস্তব, যে কোন অবস্থায়), তা শুধুই বর্তমান; আর ভবিষ্যতের বিষয়ে তোমার গবেষণা, আশা ও ভয়ের মাঝে মহান আল্লাই কেবলমাত্র আলেমুল গায়েব। সাবধান! তুমি নও! তোমরা নও(!) এবং কোন মানুষ নয়। শুন, আমার কোন উপসর্গ দেখে বা আমার কাছ থেকে কোন ধরনের ভাব-ভঙ্গিমা বা ইশারা-ইঙ্গিত দেখে বা কারো কাছ থেকে কিছু শুনে যদি তুমি আমার ভবিষ্যতের বিষয়ে কিছু বিশ্বাস করো অথবা আমার প্রতি এ ধরনের বিশ্বস্থ থেকে তোমার বা যে কারো বা যে কোন বিষয়ের গায়েব সম্ভন্ধে ইশারা ইঙ্গিতে বা যে কোন ভাবে যদি প্রশ্ন করো অথবা যদি সন্দেহ করেও প্রশ্ন করো বা কোন কিছু জানতে চাও; তবে  সুস্পষ্ট কুফরিতে বিশ্বাস করলে এবং এ গুনাহ থেকে তাওবা না করলে, তোমার নামাজ তোমাকে দোযখ থেকে হয়তো মুক্তি দিতে পারবে না। কারণ এটি ঈমানের শাখা। আর এমন একটি কূফরীর ধ্বজা ধরে তোমাদের কূচক্রী ও দূষ্কৃতিকারীরা আমাকে করলো লাঞ্চিত! পদদলিত! অবহেলিত! ভূলন্ঠিত! এ যেন মানবতার বিরুদ্ধে একটি জঘণ্য কূ-কর্ম!! আর আমি মনে করি, আজকে যারা নাস্তিক বা অবিশ্বাসী মনোবিজ্ঞানী, তাদের এ নাস্তিকতায় বিশ্বাসের পিছনে তোমাদের এহেন বিশ্বাসের নমুনা বা সীমা বা আমাদের মুমেনদের গবেষণাবিহীন অন্ধ বিশ্বাস অনেকাংশে দায়ী। অতএব অনুরোধ নিজকে বা আমাকে বেশী জ্ঞানী মনে করে আমার নিকট কোন ধরনের ইশারা-ইঙ্গিত বা ভাব-ভঙ্গিমা বা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কোন কিছু জানতে চেও না। এতে আমি কষ্ট পাই। ভালো করে মনে রাখবে, মানুষ এবং জ্বীন জাতির কেউই, তাদের যে কোন অবস্থাতেই হোক না কেন সে গায়েব জানে না; জানতে পারে না। কারণ যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তাদেরকে এ ক্ষমতা দেননি। 

৬ষ্ঠ পর্ব (ধারাবাহিক) 

(পূর্ব প্রকাশের পর থেকে)

আর মানসিক রোগের বা কারো কাছ থেকে বেরিয়ে আসা আন ব্যালেন্সিং উপসর্গের বা অস্বাভাবিক আচরণের বা তাকে হাবা-গোবা করে রাখার এটাও একটি কারণ যে, তার প্রতিভা সমূহকে অবদমিত করে রাখা হয়েছে বা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বা তার মৌলিক চাহিদা সমূহ তাকে দেয়া হয়নি বা তার উপর জুলুম করা হয়েছে অথবা পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে সে প্রকাশিত বা বিকশিত হতে পারেনি অথবা চরম ভাবে তাকে ভয় দেখানো হয়েছে বা যে কারণেই হোক সে অতিরিক্ত ভয় পেয়েছে। ঠিক একই থিওরিতে তোমরা কিছু কিছু মানুষকে দেখতে পাবে, সে সারা জীবন অবিশ্বাসী ছিলো বা কঠিন গুনাহগার ছিলো, কিন্তু ইন্তিকালের সময় সে ঈমান নিয়ে যেতে পেরেছে এবং অপ্রাসঙ্গিক হলেও সাবধান! মানুষের ক্ষেত্রে এর বিপরীত বিষয়টিও ঘটতে পারে এবং ঘটে! দেখ, আমার মেয়েটিকে আমি মাদ্রাসায় পড়াই (প্লিজ, আমি মাদ্রাসাকে খাটো করছি না), অথচ আমার মনে হয় সে আমার কাছ থেকে ইশারা-ইঙ্গিতে কিছু জানতে চায় এবং এতে সে ভবিষ্যতের অবলম্বন হিসেবে আমার কাছ থেকে কিছু বুঝে আশ্বস্থ ও বিশ্বস্থ থাকতে চায়। ভালো করে শুন, মানুষের বা আমার কাছ থেকে বেরিয়ে আসা এ উপসর্গ সমূহ, সব সময় নিজের থেকে বের হয় না, অর্থাৎ এগুলো সব সময় নিজের কথা নয়। ইহা এক ধরনের রোগ। এ রোগ পরিপার্শিক বিভিন্ন নেট (মানুষ, পশু-পাখি, জীব-জন্তু, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া, জ্বীন-শয়তান, নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডলে অবস্থিত আল্লাহু তা’য়ালার অন্যান্য সৃষ্টি, নিজস্ব ব্রেন বা ব্রেনের বিকৃতি, মানসিক অবস্থা বা মানসিক যন্ত্রণা বা চাপা কান্না অথবা আল্লাহু তা’য়ালা কর্তৃক অথবা তাঁর ফেরেশতা কর্তৃক ইত্যাদি থেকে হতে পারে। এ বিষয়ে হোমিও বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা মহাত্মা হ্যানিমেনকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি এবং মহান রবের নিকট তাঁর মতো আরেকজন আত্মত্যাগী মানুষকে এ পৃথিবীর জন্য আমি প্রার্থনা করছি।এগুলোর কিছুটা বুঝতে পারার তাওফিক পৃথিবীর অতীত ইতিহাসে এ পর্যন্ত আমি তাঁকেই দেখতে পেয়েছি। অতএব, এগুলোতে লক্ষ্য রেখে এবং গবেষণা করে (যেহেতু এগুলোও অনেক সময় আল্লাহু তা’য়ালা ও তাঁর ফেরেশতা কর্তৃক হতে পারে, তবে অপারগতায় ১০০% রবের দিকে রুজু থেকে আমল করলেও বিশ্বাস করা যাবে না) অথবা সরাসরি মুখের কথায় ও নিজ জ্ঞান পরিচালনা করে আমল করতে আমি পরামর্শ প্রদান করলাম। তোমরা দেখই না, এগুলোতে বিশ্বাস করে আজ আমার ভায়েরা আমার নিকট দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং আমাদের বংশ আজ অসম্মানিত হতে চলেছে। চিন্তা করতো একটু, এ গভীর বিষয়টি তোমাদের বংশে ঘটলে, তুমি কিভাবে ট্রেগেল দিতে? তুমি পারতে? তাহলে কেন মহান আল্লাহু তা’য়ালা কাল কেয়ামতে আমাদের সকলের মুখে তালা লাগিয়ে দিবেন? তাই, আমি জানি, তোমরা এসব ইশারা-ইঙ্গিতকেই প্রাধান্য দিবে।

 যদিও আমি আমার এবং তোমাদের কোন ধরনের ইশারা-ইঙ্গিত, জ্বীন-ভূত এসব কিছুতেই বিশ্বাস করি না। নিজ ব্রেনে বোঝার আগ পর্যন্ত এগুলোতে আমি আগেও কখনো বিশ্বাস করিনি, এখনো করি না এবং ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা ভবিষ্যতেও করবো না। আমি সম্পূর্ণ মনোবিজ্ঞান ও যুক্তিবিজ্ঞান নির্ভর একজন সাধারণ মানুষ এবং হয়তো তোমরা মনে করতে পারো, আমার সাথে কিছু রয়েছে; আসলে আমার সাথে শুধুই আমি ছাড়া আর কিছু নেই। এসব ইশারা ইঙ্গিতের ধার আমি ধারি না। এগুলোতে কখনোই আমি বিশ্বাস করি না। আর তাই তোমাদের নিকট আমি সোজা! আমি হাবাগোবা! আর এ জন্যেই আমার মনে হয়, মহান রব একদিন আমাদের মতো এ চালাক ও চোতুরদের মুখেই লাগাবেন তালা। অবশ্য আমার ভায়েরা এখনই আমায় লাগিয়ে দিয়েছেন তালা!

দেখ, আমি আবার এসবে গবেষণা করতে নিষেধ করিনি, না হয় জ্ঞানী কিভাবে হবে? বলছি যখন, আরো একটু বলি, তোমরা ভয় পেওনা এবং আমায় ভূল বুঝ না। দেখ মানুষের চারপাশের মানুষ, জীবজন্তু সহ সমস্ত পরিবেশ থেকেই মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি তত্ত্ব ও প্রত্যেক উপাদানের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের মনকে করে বিজেবল, অর্থাৎ নিকটস্থ এক ব্রেন থেকে এক ব্রেনে কোন প্রকার শব্দ, দৃশ্যতা ও ইন্টার কানেকশান ব্যতিত ভাবের আদান প্রদান হতে থাকে এবং আমি মনে করি মানুষের এ ব্রেন, এমন একটি সুপার কম্পিউটার যা অটো ভাবে ঐ ব্যক্তিটিকে না জানিয়েই তা সেভ করতে পারে এবং করে। আর ব্রেনের কিছু সেল যদি তখন ডেমেজ বা অবরুদ্ধ হয় বা ওভার লোডেড জনিত অথবা মহান রব জানেন এ ধরনের কারণে তার মুখের ভাষা ও বুঝার ক্ষমতা তখন সাময়িক বা স্থায়ী ভাবে হারিয়ে যেতে পারে। কারণ মন পরিচালিত হয় ব্রেনের কার্য কারিতায়। আমার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিষয় ঘটতেই পারে। কারণ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কারণে আমিও অবরুদ্ধ হতে পারি, আমার স্বজাতি নয় কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে হয়তো সকল শ্রেণী-পেশা ও ধর্ম-বর্ণ সহ সকল মানুষের নিকট আমারও যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আর যত মন তত কথা এবং প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মতোই বুঝতে পায়, ইহাতো তোমরা ভালো করেই বুঝতে পাও। বন্ধুরা, এতে তোমরা ভীত হয়ো না। মহান আল্লাহকে মেনে চলো। ইনশা’আল্লাহু তা’য়ালা, আল্লাহই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আর এ বিষয়গুলো গভীর ভাবে অনুধাবন করে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, কোথাও যদি শব্দ উচ্চারিত হয়, আর যদি সে শব্দ রেকড করে রাখা যায়, তবে এ শব্দের এইচ টি এম এল কোড অথবা প্রকাশ যোগ্য অন্য কোন কোডে রুপান্তরিত করে , (আমার কেন যেন মনে হয়, ইহা এইচ টি এম এল কোডে রুপান্তর করেই সম্ভব), তবে আগত ভবিষ্যতের যে কোন সময়ে রেকডেড ঐ শব্দের এইচ টি এম এল কোডকে রুপান্তরিত করে এ শব্দের মূল উৎসে ফিরে গিয়ে শব্দটি শুনতে পাবে এবং রুপান্তরিত ঐ কোডটি যদি অডিও ভার্সনের হয়, তবে অডিও শুনা যাবে, আর যদি ভিডিও ভার্সন থেকে রুপান্তর করা হয় তবে উক্ত শব্দের ভিডিও দেখতে পাওয়া যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে শব্দটি রেকড থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে শব্দই যদি রেকড না থাকে তাহলে, যেহেতু এ শব্দের এইচ টি এম এল কোড পাওয়া যাবে না, তাই মূল শব্দ পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না; আর তাই যেহেতু ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এঁর ধারনকৃত কোন শব্দ নেই, তাই যতই চেষ্টা করা হোক, আমার মনে হয় তাঁর ছবি বা শব্দ কোনটিই পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না। বলছি যখন আরো একটু বলে যাই, যেহেতু আল কুরআন একটি সত্য ধর্ম, আর তাই মানুষ সহ যে কোন প্রাণ বেঁচে থাকার জন্যে শুধুুমাত্র পৃথিবীতে যে বেঁচে থাকবে তা কিন্তু নয়, আমি যতটুকু বুঝি, এখানে মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে মহান আল্লাহু তা’য়ালা যে পৃথিবীকে নির্ধারণ করেছেন বলে যে বোণী রয়েছে, তা প্রকৃত প্রস্তাবে শুধুমাত্র গ্রহ নামের পৃথিবীকে বুঝানো হয়নি, ইহা গ্রহ বললেও প্রকৃত পক্ষে এ গ্রহ নাম দিয়ে তা প্রকান্তরে পুরো সৌর জগতকেই বুঝানো হয়েছে। আর তাই আমি মনে করি মঙ্গল গ্রহে মানুষ বাঁচবে কিনা, এ বিষয়ে আল কোরআনের পক্ষ থেকে কোন বাধা নিষেধ নাই। এ বিষয়ে সম্মানিত বিজ্ঞানী ভাই বোনদেরকে আমরা অনুরোধ করবো, আপনারা চেষ্টা চালিয়ে যান এবং নব নব আবিষ্কারে উদ্ভাসিত করুন আমাদের বাস যোগ্য এ স্বপ্নময় পৃথিবীকে। তাই আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে সুস্বাগতম, আপনি বা আপনারা যে ধর্মের বা যে বর্ণের, আস্তিক, নাস্তিক যেই হোন না কেন। 

এ বিষয়ে মাঝে মাঝে মনে পড়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা। তিনি শেষ বয়সে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই আজ এ সুযোগে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং জানি না, কোন আন্তরিকতায় তাঁর কথা মনে পড়লে অমার নয়ন কোনে বারি নির্গত হয়ে বদনখানি হয় শিক্ত। আর উপরে উল্লেখিত মানুষের এ অবস্থাগুলোকে তোমরা অনেক সময় যাদু বলো। নিজের প্রতি বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করলে কিছু না কিছু হলেও বুঝতে পারবে।] 

 ৭ম পর্ব (ধারাবাহিক) 

(পূর্ব প্রকাশের পর থেকে)

এভাবে বার বার হাসপাতালে ভর্তি করে বাবার নিকট থেকে আমার জমি গুলো নিয়ে নিতে সমর্থ হয়েছে তারা। (২৪ ঘন্টা  একজন মানুষকে যন্ত্রণা দিলে সে সুস্থ থাকতে পারে না)  হয়তো এও চেয়েছিলো যে, ঔষধ খাইয়ে আমার উপর অত্যাচারের এবং তাদের  ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট এ উদ্দেশ্যটিকে আডাল করতে পারবে। এভাবে আমি তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহ করতাম না। কিন্তু দেখ, গত প্রায় ২০ মাস আমার কোন ইনকাম নেই। আমার ছেলে মেয়েরা কী খাচ্ছে?.... অথচ এদের কোন দয়া মায়াও নেই। ঘরে যাকাত না দিয়ে আমার ভাই আমাকে অপমান করতে যায় মসজিদে, সাথে থাকে ইমাম সাহেব, আর ঘটনাটি ঘটে মসজিদের মধ্যে, এতেকাফের সময়! অথচ আমার মায়ের ঔষধ, মায়ের খানা, বোনদের মেহমানদারী এসবতো সমান ভাবেই আমাকে বহন করতে হয়। (আপনাদের প্রতি একান্ত রিকোয়েস্ট, এ বিষয়ে কিছু বলবেন না; না হয় মায়ের প্রতি সামান্য একটু যে করতে পারছি, সে সুযোগ থেকে হয়তো বঞ্চিত হবো! যা আমি সহ্য করতে পারবো না হয়তো সহজে!) বাড়িতেতো কোন খরচের কোন ছাড় নেই! নেই আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রতি কোন দয়ামায়া। মানুষকে কর্ম দেয়া এটি হচ্ছে সবচাইতে বড় দান। আপনারা গ্রামবাসী আমাকে প্রতিষ্ঠান দিয়ে সম্মানের সহিত প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন। অথচ এরা বাধা দিলো। নতুন বাজারে একটি দোকান দিয়েছিলাম, শত অনুরোধ করার পরেও পুরো ২/৩ বছরের মধ্যে একটি বারের জন্য আমার বড় ভাই যায়নি আমার দোকানে। তার উপর আমার দোকান থেকে অন্য কেউ তাদের জন্য কিছু আনয়ন করলে তা ফেরত পাঠিয়েছে। ঘর দেয়ার সময় পুকুর থেকে মাটি আনতে আমাকে দেয়নি, অথচ আমার জেঠাতো ভাই তার অল্প কয়দিন পর, ঐ পুকুর থেকেই মাটি নিয়েছে। আমারও ঐ পুকুরে সমান ভাগ ছিলো। তার যুক্তি ছিলো, পুকুরটি তার নিকট বন্ধক রয়েছে। চিন্তা করুনতো, যখন বাবার জমি ছিলো, আমার চিকিৎসার জন্য, বাবার কাছ থেকে জমি নিয়ে এরা আমার চিকিৎসা করলো এবং বুঝালো তারা দয়াবান। কিন্তু বাবা যখন চলে গেলো এবং আমার যখন জমি শেষ হয়ে গেল; আর আমার যখন চোখ-কান-মুখ খুলতে থাকলো তখন তাদের এ দয়ামায়া কোথায় গেলো? আরেকটি বিষয় চিন্তা করুন, আমার ভায়েরা গত ২০ বছরে তোমাদের বা সমাজের কাউকে কি বলেছিলো, আমার ছোট ভাইটির অবচেতন এক্টিভিটিজ, আমাদের জন্য হুমকি মনে হচ্ছে। সে অসুখের সময় আমাদের বিরোধিতা করতো। আর তাই সন্দেহ হয়েছে, সে আমাদের উন্নতিতে একটি বাধার কারণ হতে পারে। এটি কেন হলো(?), আমাদের ভাগ্যতো মহান আল্লাহু তা’য়ালার নিকট। সে কী করতে পারবে আমাদের? এখন তাকে নিয়ে আমরা কী করি!? এভাবে কাউকে কি তারা গত ২০ বছরের মধ্যে বলেছে? বলে নাই। (আমার ধারনা অনুযায়ী) কেন বলে নাই? উল্টো তারা তাদের মনের এ ঘৃন্য সত্যকে লুকায়িত করে, ইচ্ছে করে দিনের প্রায় ২৪ ধন্টা আমাকে যন্ত্রণা দিয়ে (এ যন্ত্রণার বিষয়েও আমি কয়েকটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম, কেটে ফেলেছি, যদি থাকতো তবে দেখতে, একি আসলে কোন চিকিৎসা পদ্ধতি ছিলো? না রোগি বানানোর প্রক্রিয়া ছিলো? আর এভাবে বার বার আমাকে হাসপাতালে নিয়ে এবং আমাকে সম্পদহীন করে তাদের ভয় থেকে বাঁচার বুদ্ধি করেছে? হে বন্ধু! আমি তাদের জীবনের হুমকি ছিলাম!? আর আমার বাড়ির ২ জেঠাতো ভাই ও তার পরিবারকে এ দোষে দূষ্ট করলাম। যেহেতু তারা এ জঘন্য এবং বর্বরোচিত কাজের সহযোগী ও সমর্থক ছিলো। এবার বন্ধুরা সহ তোমরা সকলে বল, মানুষের অবচেতন মনের ক্রিয়া কলাপ, সে কি কখনো বলতে পারে? আজ আমি যদি বিষয়টি তুলে আনার তাওফিক না পেতাম, তাহলে কী হতো? একটা সত্যের সমাধি হতো না? তোমাদের বিচারে আমি দন্ড প্রাপ্ত হতাম না? আর তাই মনেরেখ, দুনিয়ার এ বিচারকদের বিচার গুলো (স্বাক্ষী, সিদ্ধান্ত, রায়, ফলাফল, মন্তব্য ইত্যাদি) কাল কেয়ামতে মহান আল্লাহু তা’য়ালা পুন: সম্পাদন করবেন। আর এমন একটি বিষয় আমার কাছ থেকে তোমরা সকলে জানতে চাইলে, তা প্রায়ই অর্থ ও ক্ষমতা কেন্দ্রিক এবং প্রায় হারাম খাদ্যে পরিপুষ্ট বর্তমান সময়ের মানুষের দ্বারা হয়তো আদৌ সম্ভব নয়। মহান আল্লাহু তা’য়ালার অশেষ রহমতে এবং শুধুমাত্র মানুষের মাথা সুপার কম্পিউটার হওয়ায় হয়তো আমি বিষয়টা প্রকাশ করতে পেরেছি। এভাবেই বুঝি তোমরা চালাক শ্রেণী দূর্বল শ্রেণীকে দুনিয়ায় খতম করবে। অথচ ইতিহাসের এ নির্মম ও জঘন্যতম ঘটনাটি সম্পূর্ণ কূফরীর উপর প্রতিষ্ঠিত। আর যদি আমি বিষয়টি তোমাদের মাধ্যমে মানুষদেরকে অন্তত আমার মতো করে বুঝিয়ে দিতে না পারতাম, তাহলে আমি যে নিরপরাধী বাবা ছিলাম এ বিষয়টি তাদের মায়ের ছলনা এবং বাড়ির লোকদের কৌশলী ব্যবহারে আমার এ সন্তানেরা কি তা জানতে পারতো? তাহলে আমি অপরাধ না করেও, যাদেরকে প্রাণ দিয়ে ভালো বাসলাম, যাদের ভরন-পোষনের জন্য সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করলাম; তাদের কাছেই নিয়মিত দোষী সাব্যস্ত হতে থাকলাম(!) ও এ কারণে তাদের ব্যবহার গঠিত শাস্তি ভোগ করতে থাকলাম সারা জীবন! ইহা কতটুকু দু:খ আর মর্মবেদনার! তুমি যদি সত্যিকার বাবা হও বিষয়টি তোমার নিকট কেমন লাগবে?

৮ম পর্ব (ধারাবাহিক) 

(পূর্ব প্রকাশের পর থেকে)


প্রত্যেক সৃষ্টি যেমন, হাঁস, মুরগী... ইত্যাদি সব কিছু প্রকৃতিগত ভাবে তার মাকে বাবার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ভালোবাসে। যা অনেকটা সৃষ্টিতত্ত্বের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এবং যা দুনিয়ায় প্রাণের অস্তিত্ত্ব বাঁচানোর স্বার্থে প্রয়োজন। আমি মনে করি, প্রত্যেক সৃষ্টি তার মায়ের দিকে ধাবমান হওয়ার পিছনে এবং এর পুরোটাই মায়ের কৃতিত্ত্ব নয়, এর অনেকটাই সৃষ্টিতত্ত্ব। আর এ সৃষ্টিতত্ত্বের সুবাধে, সম্মানিত মা-বোনগণ আপনারা যদি এভাবে স্বামীর নাফরমানী, তার সাথে ছলনা ও তার সম্পদের হেফাজত না করেন, তাহলে ইহাতো সত্য যে, পুরুষের চাইতে নারীরা অধিক পরিমাণে দোজখে যাবে। যা আমার সাথে ঘটেছে এবং সামনেও হয়তো ঘটবে। তারপরও খুশি রয়েছেন ও সন্তানদেরকেও হয়তো বুঝ দিতে পারতেছেন এই কথা শুনিয়ে ও নিজেও তৃপ্ত থাকতেছেন এই ভেবে যে, মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত। কিন্তু আপনিতো হয়তো জান্নাতে যেতে পারলেন না। যাক কথা প্রসঙ্গে কিছু কথা বলে ফেললাম।

 বন্ধুরা, তোমরা বিভিন্ন দল-বিদলে বিভক্ত। তাই বলতেও পারি না। দেখ, আমি কোন রাজনীতিকার নই এবং যে কোন একটি রাজনীতির সমর্থক থাকলেও আমি কখনো সরাসরি রাজনীতি করবো না ও কোন রাজনৈতিক দল, সম্প্রদায়, ধর্ম, বর্ণ কারো ক্ষতি করবো না। সব সময় স্থানীয় প্রশাসনকে মেনে চলবো। তবে প্রয়োজন হলে যে কোন জাতি গোষ্ঠি দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে যাব। আমি কোন মানুষকে অবহেলা করি না, সবাইকে ভালোবাসি, কেবল শয়তানই আমার শত্রু। সাথীগণ, তোমরা বিভিন্ন দল-বিদলে বিভক্ত, তবুও একটি কথা তোমাদেরকে বলতে মন চাচ্ছে। কারণ বাংলার জমিনে যাঁর কাছ থেকে আমি পেয়েছি বীরত্বের দীক্ষা। আর তিনি হচ্ছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বলতে পারো তাঁর কথা মনে পড়লে আমার চোখে জল আসে কেন(?), আমাকে এর কোন ব্যাখা দিতে পারবে? ইহা কি আসলে দুনিয়াতে বেঁচে থাকার কোন কৌশল বা এতোদিন সীমাহীন যন্ত্রণা সহে বরদাস্ত করতে না পেরে এখন আমি আমার রবকে বাদ দিয়ে দুনিয়ার কোন শক্তি তালাশ করছি(?), না তাঁর মৃত্যুটি ছিলো একটি অপমৃত্যূ ও খুন? আর তাই এ চোখের পানি হ্নদয় থেকে উৎসারিত? না শয়তান থেকে? তাঁর মৃত্যূ অনেকটা নিয়ারেস্ট লোকজন দ্বারা গঠিত নয় কি? আমাকেওতো নিয়ারেস্ট লোকজনেরাই শেষ করে দিতে চেয়েছিলো। এ বিষয়ে মিল থাকায় কি, চোখে পানি আসে? না হয় তাঁর প্রতি ভালোবাসার এবং তাঁর কথা শুনে চোখে পানি আসার কারণ কি? আমি তো কোন রাজনীতি করি না। এছাড়া তোমরা বিভিন্ন জন, বিভিন্ন কিছু মনে করতে পার, সে ভয়েও থাকি, যেহেতু আমি তোমাদের সকলের কাছেই যাই। তবে এ কথা সত্য যে, উনার নিকট আমি ঋণী। তাই উনাকে আমি শ্রদ্ধা করি। যা আমার নিজস্ব জ্ঞান গঠিত। এ বিষয়ে আমার একটি কবিতা রয়েছে এবং কবিতাটি আমার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করা আছে। যা মোটেই কোন ধরনের টেকনিক নয়।

এ পরিস্থিতিতে আমি তাদেরকে ও তাদের অতীত এক্টিভিটিজকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবো না কেন? আর মূলত আজ বিশ মাসের মধ্যে আমার প্রতি নিষ্ঠুর ও করুণ আচরণ দেখে আমি হয়েছি বিদ্রোহী ও এ লিখা লিখতে বাধ্য হয়েছি। আসলে চতুর্মূখী যন্ত্রণা, ভবিষ্যত চিন্তা ও সত্যের সমাধি এ সব আর সহ্য করতে পারছিলাম না।  এটি কি অযুক্তিক ভাবে লিখলাম তাহলে?) 

 আসলে আমার কাছে তারা হয়তো কিছু পাবে না, (যেহেতু আমার কালচার তাদের মতো নয়) বা তাদের জীবনের জন্যে, পাওয়ার মতো বা দেয়ার মতো কোন সামর্থ্য আমার কাছে আর বাকি নেই (রোগটি আমার সব শেষ করে দিয়েছে বা দিবে) এবং আমি আর তাদের কোন কাজের বাধা হওয়ার কোন শক্তি বা সুযোগ নেই; মূলত মানুষের এ মৌলিক কালচার হেতু তারা আমায় বুঝে ও না বুঝে পদে পদে বাধাগ্রস্থ করছে, আমাকে পদদলিত করে রাখতে সদা সচেষ্ট থাকছে। আর মানুষের জ্ঞান থাকুক আর না থাকুক, একজন মিথ্যাবাদির সবচাইতে বড় পরিচয় হচ্ছে, সে শুনা কথা বলে বেড়াবে অথবা শুনা কথায় বিশ্বাস করবে। এভাবে অজ্ঞতা ও মূর্খতা আর পরিস্থিতির স্বীকারে আমাকে হয়ে যেতে হয়েছে, এক বোবাকালা।

 এভাবে বিয়ের পর আমার বউ দেখলো যে, আমাকে কেউ বিন্দু মাত্রও মূল্যায়ন করে না এবং আমিও তারা উঠতে বললে উঠি, বসতে বললে বসি। আসলে তাদের এ ব্যবহারটি উন্নতিতে বাধা দেয়ার পথে আমার উপর একটি অত্যাচার ছিল। এতে যুক্ত করলো আমার স্ত্রীকে। কারণ সে বুঝলো, না হয় তার কোন সম্মান বা তাদের সাথে বেঁচে থাকা হয়তো এ বাড়িতে নাই। চলতে থাকলো তার এক ধরনের পরকীয়া। সীমাহীন অপমানিত আর জিম্মি হতে থাকলাম। এখনো আমার যে কোন কথা বা আমার ঘরের যে কোন শব্দকে বিকৃত করে আমার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে আমাকে সিরিয়াসলি অপমান করছে তারা। আর আমার স্ত্রীতো, একটা স্ত্রী নয়, সে যেন আমার জন্য একটা ইস্তারি (আয়রণ)! দিন যেতে থাকলো। সমাজের মানুষও আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করলো। দু’চার জনের সাপোর্ট পেতে থাকলাম। আমার দয়ার সীমাও শেষ হতে থাকলো। আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করলাম। এদের ভয়, তারা যে আমায় বিভিন্ন ভাবে বাধা দিলো, অপপ্রচার চালালো, অপমান করলো; এখন আমার উন্নতি হলে তারা বিভিন্ন ভাবে অপমানিত হবে। দুনিয়ার জীবনে তাদেরকে অসম্মানিত হতে হবে। যেমন উদাহরণ স্বরুপ আমার স্ত্রী টিকে জানিয়ে দিয়েছি, তুমি বেঁচে থাকার জন্যে আমাকে বাদ দিয়ে, তাদেরকে সমীহ করো। আমাকে কর অপমান, আর এতে তোমার বন্ধুরা খুশি থাকে। অতএব, তুমি এ বাড়িতেই থাকবে। কিন্তু স্বামীর পরিচয় দেয়া হয়তো তোমার ভাগ্যে জুটবে না। কারণ যার সাথে যার দোস্তি, তার সাথে তার হাশর।

৯ম পর্ব (ধারাবাহিক) 

(পূর্ব প্রকাশের পর থেকে)


 অন্যদিকে বাড়িতে দুই জেঠাতো ভাই থাকে, তারা এবং তাদের পরিবার মনে করলো আমারতো সব শেষ, সমাজে নেই আমার কোন অবস্থান, নেই কোন অর্থ, নেই কোন চাকরী বাকরী; অপরদিকে আমার ভাই ফেনী পৌরসভার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রয়েছে তার রাজনৈতিক সমর্থন এবং তিনি বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালন করেন ও বড় ভাই এবং তার ছেলে মেয়েরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত; তাছাড়া আরিফকে মানে আমাকে অবদমিত করে রাখার মূল কারণটি অর্থাৎ তার বৈশিষ্ট্যের পরিচয়টি ঘটেছে তার অবচেতন অবস্থায়, অতএব তাকে বিরোধিতার মূল স্পট হয়তো সে কোনদিন বুঝতে বা মানুষকে বুঝাতেও পারবে না, সে সাথে তার ঘুরে উঠার সম্ভাবনা একেবারে নেই বলেই মনে হয়; এ অবস্থায় তাকে সাপোর্ট দিয়ে কে বিপদে পড়বে? আর তাই শুধু দুনিয়ার জন্যে তারা আমাকে সাপোর্ট না দিয়ে, যখনই যে কাজ করেছি বা ধরেছি; তখনই বিভিন্ন ভাবে ছোট বড়, দিন মুজুর, রিক্সা ওয়ালা (তাদের ইন্দনে) সবাই মিলে আমাকে দিয়েছে বাধা। বন্ধুরা মানুষদেরকে ভূল বোঝালেও তাদের পক্ষ থেকে এ বাধার কারণ এ ছিলো যে, আমি পারবো না বা আমার রোগ তা কিন্তু না, তাদের ভয় ছিলো তাদের উন্নতি অবনতি এবং সুনাম বদনামের ক্ষেত্রে আমি বাধা স্বরুপ; যা তাদের বুঝ অনুযায়ী আমার অসুখের সময় তারা বুঝতে পেরেছিলো। আর তাই কোন কাজে এরা আমায় সহযোগিতাতো করেইনি, উল্টো বিভিন্ন অপকৌশলে আমায় পদদলিত করে রেখেছে। এ জন্যে কোন ভাবেই এবং কোন দিকেই উঠতে পারছিলাম না। তাদের আরেকটি ইচ্ছে ছিলো, আমার ভিতর, তারা হয়তো কোন রত্ন দেখেছিলো, আমি এসবে বিশ্বাস করি না বিধায় বলতে চেয়েছিলাম না। কিন্তু তারাতো এ গায়েব, অনুমান ধারনা ও আমার থেকে উৎসারিত বিভিন্ন উপসর্গে বিশ্বাসী হয়ে এবং বিষয়টাকে সত্য মনে করে আমাকে নিয়ে এগিয়ে যাবে বহুদূর, আর সম্মানিত হবে দুনিয়ার জমিনে। হয়তো এ ছিলো তাদের আশা। কিন্তু একটা পর্যায়ে তারা তাদের মতো করে বুঝতে পারলো যে, তাদের এ উদ্দেশ্যে তারা অমাকেতো পাবেই না (অনেক ধরনের নীপিড়ন, নির্যাতন এর পর), উল্টো আমি তাদের হুমকি স্বরুপ, যেহেতু তারা আমায় কষ্টের পর কষ্ট  দিয়ে ছিলো এবং তাদের মাইন্ড মোতাবেক আমার সাথে থাকা এ রত্নটি, আসলেই মহা শক্তিশালি ও সত্যিই একটি রত্ন। এ উঠতে পারলে, আমাদের আর কোন গতি নেই, সে হবে সম্মানিত, আমরা হবো অপমাণিত। [বন্ধুরা, আমি এসবে বিশ্বাস করি না, আগেও একবার বলেছি। আর ভায়েরা, আমাকে ভালোবাসতে হলে কোন ধরনের লোভ থাকতে পারবে না, কথায় কথায় এতো জ্ঞান দিতে পারবে না, কথায় কথায় এতো ইশারা ইঙ্গিত বা শব্দের ধুম্রজাল সৃষ্টি করে আমার নিকট প্রেরণের অর্থ হলো তুমি বড়! তুমি জ্ঞানী! তুমি বাচাল! তুমি শক্তিশালী! তুমি কৌশলী! তুমি স্বার্থ তালাশ করছ! আমার নিকট কিছু পেতে পার হয়তো! পক্ষান্তরে আমি কিছু বুঝিনা! আমি দূর্বল! আমি সোজা! আমার কাছে শক্তি নেই! ক্ষমতা নেই! তবে প্রয়োজনের সময় তোমাকে দিয়েই তোমার স্বাভাবিক কর্মের মাধ্যমেই মহান আল্লাহু তা’য়ালা আমাকে সহযোগিতা করাবেন। তাই অতি উৎসাহী হবে না। মনে রাখবে অতি শব্দটি সব ধরনের আমলের ক্ষেত্রেই এক ধরনের গুনাহের কারণ হতে পারে এবং জীবনকে নিম্নমূখী করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। তবে যখন শত্রু আসবে, শুধু তখন সজাগ হবে। কৌশলে না এগিয়ে এভাবে সকলে যদি ওপেনিং প্রাটিচিপেট করতে থাক, তবে বিজয় মনে হয় সুদূর পরাহত হতে পারে। এর বেশি আমি আর কী বলবো! কারণ আমি তো চারদিককে কেয়ামতের মতো উদোম দেখতে পাই। আমার সব কিছুই যেন সকলে দেখতে পায়। তাহলে শত্রুরাতো আমার সব কিছু দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে ইহাতো কেয়ামত নয়। এ যেন এক পৃথিবী নামের মনুষ্যসৃষ্ট জেলখানা; আজ মনে হয় ইহা আল্লাহর জেলখানা নয়। তাই আমার মন চায়, পৃথিবীর কিছু মসজিদ, যেখানে মানুষকে অপমান করা হয়, অপমানের ভয়ে যেখানে মানুষ প্রবেশ করতে অসহায় বোদ করে, যেখানকার মুসল্লিগণ শুধু আত্মকেন্দ্রীকতায় লিপ্ত, এ ধরনের মসজিদ গুলোকে উল্টে দেই। আর শুন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবকিছু ওপেন রেখে, কোন কাজের বা কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নতি আদৌ সম্ভব নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে থাকতে হবে মানব সেবা মূলক একটি গোপণীয়তা। সে ক্ষেত্রে আমরা কেন হবো, ওপেন। তাহলেতো সত্যি মনে হয় কেয়ামত আসবে ঘনিয়। আমার বন্ধুরা, তখন এক পর্যায়ে হয়তো তোমরাই একে অপরকে বলে উঠবে, নীল নভঘনে আষাঢ় গগনে টিল ঠাঁই আর নাহিরে, ওগো আজ তোরা জাসনে ঘরের বাহিরে! ভালো করে শুনে রাখ, যদি তুমি আমার প্রকৃত বন্ধু হও, তবে পরীক্ষা করতে বা আমায় জ্ঞান প্রদান করতে বা তোমার প্রয়োজন নাই, এ জাতিয় কিছু নিয়ে আমার কাছে ঘূর্ণাক্ষরেও কোনদিন আসবে না এবং এ জাতীয় কোন শব্দ বা কোন উপমা বা কোন কৌশল কষ্মিক কালেও কখনো করবে না। মনোযোগ সহকারে শুন, তোমার বা তোমাদের জন্য আমার কাছে কিছুই নেই। যা চাইবার মহান আল্লাহু তা’য়ালার কাছে চাইবে এবং একই ভাবে আমার কাছ থেকে কোন কিছু পাওয়ার নিয়তে যদি তুমি আমায় দাও, তবে সম্ভব হলে তোমার বিরুদ্ধে শাস্তি প্রয়োগের ব্যবস্থা করবো। তুমি হয়তো মনে করতে পার, এসব আমি বুঝিনা, আমার মহান রব যদি আমায় বুঝিয়ে দেন, তবে  তখন প্রমাণিত হয়ে যাবে তুমি যে আসলে আমার ছিলে না। তুমি প্রকৃত প্রস্তাবে শয়তানের অনুচর; শুধুই দুনিয়াদার। আবার আমার সাথে যদি মিশতে চাও, তবে বাকী ১০ জন মানুষের সাথে যেভাবে মিশ, ঠিক সেভাবে মিশবে এবং এতেই তুমি আমার সব চেয়ে ভালো ব্যবহার পাবে। আমি সাধারনের সাথে তাদের প্লেস ও তাদের পরিবেশে আন্তরিক ভাবে মিশলে তুমি আমার দূর্বলতায় ঢিল মারতে পারবে না বা আমাকে দূর্বল ভাবতে পারবে না]  তাই শুরু করলো কৌশল গত অত্যাচার ও পুরো এলাকায় ছড়িয়ে দিলো আমার বিরুদ্ধে জুলুম ও অপমানের এক নীল নকশা। 

বি:দ্র: মানুষের মন্দ দিকের আলোচনা ও নিজ বংশের বিরোধিতা করতে আর ভালো লাগছে না বিধায় গল্পটি অসমাপ্ত রেখে এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।




 

Post a Comment

0 Comments