Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা:), পাঠ-১, (লিখিত. ধারাবাহিক)

 

একমাত্র সত্যধর্ম কোনটি,  বিষয়টি বুঝতে হলেতাহলে প্রথমে  বুঝতে হবে  ধর্মের প্রবর্তক সর্বকালেরসর্বযুগেরসর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবযেহেতু সেটি সত্য ধর্ম। আর সত্য ধর্মের প্রবর্তক হবে অবশ্যই শ্রেষ্ঠকারণ এটি সত্য ধর্ম  আবার মানুষ সহ  মহাবিশ্বের সমস্ত সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা আপনি যদি একজনকে মনে করেন (মহাসৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা একজন বিষয়ে পরে লিখবো। নাস্তিক দিগকে অনুরোধ করি আপাতত  বিষয় বাদে অন্য বিষয়গুলো বুঝতে চেষ্টা করুন), তাহলে তার মনোনিত ধর্ম হবে শুধুমাত্র একটি;এটিই যুক্তিযুক্ত। যেহেতু সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করবেনআবার সে সৃষ্টিকে একাধিক ধর্ম দিয়ে ভেধাবেদহিংসা আর অশান্তিতে নিমজ্জিত রাখবেন এবং তাঁর ধর্মের প্রবর্তক দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম মানুষ হবে নাএটি কিন্তু কোনদিনই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। তাই সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আমার অনুরোধআসুন আমরা একটু জ্ঞান খাটাইএকটু চিন্তা করি কোন্ ধর্মটি সত্য এবং কোন্ ধর্মের প্রবর্তক শ্রেষ্ঠ। যেহেতু দুনিয়াতে একই সাথে একাধিক ধর্ম সত্য হতে পারে না। এজন্যে আপনার ধর্মটি সত্য কিনা তা বুঝার জন্য একটু জ্ঞান খাটানোর প্রয়োজন রয়েছেযেহেতু দুনিয়াতে একাধিক ধর্ম একসাথে বিরাজমান।  একাধিক ধর্মের মাঝে নিচ্ছয় একটি ধর্মই সত্যবাকী গুলো মিথ্যাতাই নয়কিঅনেকে বলে থাকেনহিন্দুরাও বেহেশতে যাবেখ্রিষ্টানেরাও যাবেযে ধর্মেরই হোক ভালো মানুষ সবাই বেহেশতে যাবেএখানে ধর্ম মুখ্য বা বিবেচ্য নয় বিষয়ে এবং আসলেই দুনিয়ায় একাধিক বা বহু ধর্ম থাকতে পারে কিনা সে বিষয়ে ইনশাআল্লাহু তায়ালা পরে ভিডিও দিবো  প্রবন্ধ লিখবোসে পর্যন্ত সাথে থাকবেন আশা করি। অতএব আসুন আমরা বুঝতে চেষ্টা করি ইসলামের নবীহযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা:) দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষ। আর  বিষয়টি বুঝাতে বা আলোচনা করতে আমি সংক্ষেপে লিখবো  বলবো। কারণ যে সত্যিই জানতে চাইবেবুঝতে চাইবে তার জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনার বাইরে অতিরিক্ত যুক্তির অবতারণা করার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যেআমি লম্বা ভিডিও দিই এবং এতে মানুষের ধর্যচ্যুতি ঘটে। তাই এখন থেকে আমি বিষয় অনুযায়ী পার্ট পার্ট করে ছোট ছোট ভিডিও দেয়ার চেষ্টা করবো। হযরত মুহাম্মদ (সা:) দুনিয়ায় শিশুকালে  যৌবনকালে কতটুকু সামর্থের অধিকারী ছিলেনআর তাঁর জীবন কতটুকু সাফল্যমন্ডিত হয়েছিলোতা নিয়ে প্রথমে একটু চিন্তা করি। যেহেতু একজন মানুষের শ্রেষ্ঠত্য  সাফল্যের বিষয়ে প্রথমে বুঝতে হবে মানুষটির শিশু  যৌবনকালে তার সামর্থ কী ছিলো বা আছে এবং তার সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা কতটুকু। অর্থাৎ শারীরিকআর্থিকবংশীয়পাড়া-প্রতিবেশীআত্মীয়বন্ধু-বান্ধব  পরিচিতজন তাদের অবস্থা কী রকম। যেহেতু শিশু  যৌবন কালই হচ্ছে একজন মানুষের সাফল্যের মূল ভিত্তি। স্কুলকলেজমাদ্রাসায় ভর্তি না হয়েযদি কেউ স্নাতকোত্তরএমফিল আর পি এইচ ডিগ্রী পাশ করতে পারে বা  ধরনের অসাধ্য সাধন করতে পারেতবে সেটি ভাববার আর গবেষণার বিষয়কিন্তু নিয়মিত লেখাপড়া করে ধাপে ধাপে  ডিগ্রী অর্জন করলে বা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কোন কিছু প্রাপ্ত হলেসেখানে মহাসাফল্যের বা অলৌকিকতার কিছু থাকতে পারে না। 

আসুন  বিষয়ে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এঁর সম্পর্কে  নিচের কথাগুলো বিবেচনা করি-

1. জন্মের আগে বাবাকে এবং শিশুকালে মাকে হারিয়ে তিনি ইয়াতিম  সম্পদহীন ছিলেন।

2. দুনিয়ার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি।

3. তিনি মানুষ ছিলেন। তাঁর সংসার ছিলো। তাঁর পিতা-মাতাস্ত্রী  সন্তানাদি ছিলো। অর্থাৎ তিনি আকাশের কোন দেবতা ছিলেন না যে তাঁর দ্বারা সব সম্ভব ছিলো। যদিও নবী হওয়ার কারণে মহান আল্লাহু তায়ালা প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁকে কিছু স্পেশাল ক্ষমতা দান করেছিলেন। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে এটাতো সমুজ্জল দিবালোকের ন্যায় সত্যযেতিনি মানুষ ছিলেন। আর মানুষ না হলে আমরা কিভাবে বিলিয়িন বিলিয়ন মুসলমান তাঁর শরীয়ত  তরিকত পালন করি। অতএব তিনি মানুষ ছিলেন এবং মহাগ্রন্থ আলকোরানে তাঁকে মানুষ হিসেবেই বলা হয়েছে। তাই মানুষের সাথে  তাঁর সাথে তুলনা আমরা করতে পারি এবং সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারিযে,তিনি কি আমাদের মতো সাধারণ মানুষনা আল্লাহু তায়ালার নবী।

4. তৎকালিন সময়ের জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকে সমসাময়িক অন্যান্য জাতি গোষ্ঠি থেকে তাঁর স্ব-জাতি নিরক্ষরঅর্থহীনঅনগ্রসর  অবহেলিত ছিলো।

উপরোক্ত  চারটি বিষয় যেতিনি ইয়াতিম ছিলেনসম্পদহীন ছিলেনতাঁর জাতি-গোষ্ঠি সম্পদহীন ছিলোতিনি মানুষ ছিলেনদুনিয়ার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি লেখা-পড়া করেননিতৎকালিন সময়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানেরও তেমন কোন উন্নতি হয়নি বিষয় গুলো নিয়ে এবার গবেষণা করি এবং ভাবতে থাকি স্বাভাবিক ভাবে  শ্রেণীর একজন মানুষের দ্বারা তার জীবন সায়ান্বে কতটুকু প্রাপ্তি সম্ভব (?); যিনি রাজা হবেনতিনি সাধারণত রাজপুত্র বা প্রভাবশালী হবেনআর ইয়াতিম  গরীব শ্রেণী অবহেলিত থাকবে এটিই যুক্তিযুক্ত এবং  দুনিয়ার নিয়ম। আমাদের চারপাশে চোখমেলে তাকালে  বিশ্বের অতীত ইতিহাস পর্জালোচনা করলেসামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া আমরা তো এটিই দেখতে পাইতাই নাআর সেক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা:), তিনি কতটুকু প্রাপ্ত হলেন! তাই সে আলোকে এবং যুক্তির বিচারে সিদ্ধান্তে উপনিত হইতাঁর জীবনে যা অর্জিত হয়েছে তা কি আসলে স্বাভাবিক ছিলো (?), না  ছিলো অলৌকিক (!)  কোন মহাশক্তিধরের সরাসরি সাহায্যে (!!) এবং  রকম মানুষ অতীতে ছিলো কিনা (?)  পৃথিবীর  পর্যন্ত কেউ হয়েছে কিনা (?) বা ভবিষ্যতে কেউ হতে পারে কিনা (?) (চলবে

Post a Comment

0 Comments