Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কবীরা গুনাহ সমূহের বিবরণ, পাঠ-৩, ধারাবাহিক (লিখিত)

 

কবীরা গুনাহ সমূহের বিবরণপাঠ- (ধারাবাহিক, লিখিত)

৭। ওযর ছাড়া রমজানের রোজা ভঙ্গ করা

আল্লাহু তায়ালা বলেন, “ হে বিশ্বাসীগণতোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছেযেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপরযাতে তোমরা পরহেজগারী অর্জন করতে পার। (সূরা আল বাকারা : ১৮৩১৮৪)

রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেনযে লোক ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া রমজানের একটি রোজাও ভেঙ্গে ফেলবেএরপর সে সারা জীবন রোজা রাখলেও তার ক্ষতিপূরণ হবে না। (তিরমিযীইবনে মাজাইবনে খুযায়মা)

আবু উমামা (রা:) থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, “একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম যেএকটি সম্প্রদায় উল্টোভাবে ঝুলছে। তাদের গলাটি ফাড়া এবং তা থেকে রক্ত ঝরছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম এরা কারাবলা হলোএরা ঐসব ব্যক্তি যারা বিনা উযরে রমজান মাসের রোজা ভঙ্গ করেছিলো” (সহীহ ইবনে খুযাইমাহ)

রোজা ইসলামের মূল ৫টি স্তম্ভের একটি স্তম্ভ। বৈধ ওযর (শারীরিক অক্ষমতামজলুম হওয়ামাসআলার কিতাব দ্রষ্টব্য,) না থাকলে ধনী-গরীব সকল সাবালক [স্বপ্নদোষ আরম্ভ হওয়া (ছেলেদের ক্ষেত্রেঅথবা পিরিয়ডের রক্ত আরম্ভ হওয়া (মেয়েদের ক্ষেত্রে);  দুটির কোনটির প্রমাণ পাওয়া না গেলেবিশেষ করে দূর্বল শ্রেণীর ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে (সতর্কতার সহিত সিদ্ধান্তে উপনিত হতে হবে); তবে চান্দ্র বছরের হিসাবে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়া (সৌর বছর নয়), ইহাকে একজন মানুষের সাবালক অবস্থা বলেপূরুষ-নারীর উপর রোজার নিয়মাবলী অনুযায়ী ( মাসআলার কিতাব দ্রষ্টব্যরোজার মাসআলা নিয়ে পরিপূর্ণ ভিডিও আমাদের  চ্যানেলপেজ  ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছেদেখার  শিখার অনুরোধ রইলোভিডিও শুরুতে আমাদের মূল সাইট গুলির নাম প্রদর্শিত হয়েছে অথবা আমাদের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে খুঁজে নিতে পারবেনরোজা রাখা অবশ্যই কর্তব্য বা ফরজ। আর  আইন অমান্যকারীর উপর কঠিন  যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ঘোষণা প্রদানকৃতযা কবীরা গুনাহ নামে আখ্যায়িত। আবার  রোজাকে অস্বীকারকারী বা লংঘনকারী মুসলিম হিসেবে পারিবারিক বা বংশীয় সূত্রে পরিচয় দিলেও সে কাফেরতার ঈমান নেই (সম্মানিত মুফতিবৃন্দের অথবা ইসলামী সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত আদালতের ঘোষণা অনুযায়ী)

অতএবইহা অকাট্যরুপে সত্য যেওযর বিহীন রমজানের কোন রোজা ভাঙ্গা অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিযোগ্য কবীরা গুনাহ্ সমূহের অন্যতম একটি কবীরা গুনাহ্।

৮। সামর্থবান হওয়া সত্ত্বেও হজ্জ না করা

মহান আল্লাহু তায়ালা ঘোষণা দিয়েছেন, “আল্লাহু তায়ালা মানুষের জন্য বায়তুল্লাহর হজ্জ করা ফরজ করেছেনযে সেথায় যাওয়ার সামর্থ রাখে।”-(সূরা আলে ইমরান৯৭)

রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেনবায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে হজ্জ সম্পাদনের প্রয়োজনীয় সওয়ার (পরিবহন খরচ বা সুবিধাদি রসদ (খাওয়া-থাকার প্রয়োজনীয় খরচযার আছে (ঋণ ব্যতিত), সে যদি হজ্জ না করে [(কোন বৈধ ওজর যেমন কোন রোগ-ব্যাধি বা জালেম শাসক কতৃক বাধাগ্রস্থতা বা তিন মঞ্জিলের (ইংরেজী মাইলের হিসাবে ৪৮ মাইলবাহিরের মহিলাদের ক্ষেত্রে সঙ্গে যাওয়ার জন্য স্বামী বা মাহরাম রেস্তাদার না থাকলেএবং (যখন সামর্থ হয়েছে তখনই হজ্জ করা তার উপর ওয়াজিবকারণ পরে গরীব হয়ে গেলেওসে ফরজ তরকের গোনাহগার হবে। আবার বিনা কারণেশুধু আলস্যতা হেতু দেরী করলে তাহলে ওয়াজিব তরকের গুনাহগার হবে বিষয়ক বিস্তারিত বিধানাবলী মাসআলার কিতাবে দ্রষ্টব্যকোন ভালো আলেমের সহযোগিতায় শিখে নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এছাড়া  আমরাও সময় হলে  বিষয়ক প্রবন্ধ  ভিডিও আমাদের  প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহু তায়ালা)]; তবে সে ইহুদি কিংবা খৃস্টান হয়ে মরে মরুকতাতে আল্লাহু তায়ালার কিছু যায় আসে না। (তিরমিযিহাদিস ৮১২তাফসীরে ইবনে কাসীর /৫৭৮)

হজ্জ ইসলামের ৫ম স্তম্ভ। যে ইসলামের  মূল স্তম্ভকে অস্বীকার করবে বা মানতে রাজী না হবে সে অবশ্যই কাফের। এমনকি যে অবহেলা করেছে বা গুরত্বহীন থেকে হজ্জ না করে ইন্তেকাল করেছেতার ঈমান নিয়ে ইন্তেকাল না করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। উপরের হাদিসটিই এর প্রমাণ। এছাড়া আরো অনেক হাদিস রয়েছে  বিষয়ে। যাক ইসলামের একটি মূল বিষয়কে নিয়ে এর বেশি লিখার আমার মনে হয় কোন প্রয়োজন নাই। আর ঈমান নিয়ে ইন্তেকাল করতে না পারলেকাফেরের শাস্তি কী হবেতা সহজেই অনুমেয়। তাই সামর্থ হওয়ার সাথে সাথে হজ্জ্ব করা প্রত্যেক মুমেনের একান্তই কর্তব্য।

৯। আল্লাহু তায়ালার আইন অনুযায়ী শাসনকার্য  বিচারকার্য পরিচালনা না করা অথবা আল্লাহু তায়ালার বিধানকে সত্যসঠিক  ন্যায়বোধ মনে না করে বা মানুষের প্রতি অমানবিক  জুলুম মনে করে মানব রচিত আইনকে সমর্থন করা বা প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করা।

আল্লাহু তায়ালার বিধান ( মানে কুরআন  সুন্নাহঅনুযায়ী রাজ্য পরিচালনা করা সমস্ত মুসলমানের উপর ফরজে আইন। একতাবদ্ধ হয়ে যোগ্যতম ব্যক্তিকে (জ্ঞানঈমান  আমলের দিক থেকেআমির বা রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান নিযুক্ত করা সকল মুসলমানের উপর ফরজ এবং তার তাবেদারী করা বা তার অনুগত হয়ে রাষ্ট্রের আইন বা নিয়ম-কানুন মেনে চলা প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব।  বিষয়ে মহান আল্লাহু তায়ালা কী বলছেন তা পড়ুন  শুনুন। আল্লাহু তায়ালা বলেনযে আল্লাহু তায়ালার আইন অনুযায়ী শাসন কার্য (বা বিচার কার্যপরিচালনা করে নাসে কাফেরজালেমফাসেক (সূরা মায়েদা৪৪৪৫৪৭)

হযরত মুহাম্মদ (সা:) এবং তাঁর পরবর্তীতে হযরত আবু বকর (রা:)  হযরত উমর (রা:) নিজে ইসলামী রাষ্ট্রের শাসক হওয়ার মাধ্যমে এবং তখনকার জনগণ এতে সমর্থন দেয়ার  মেনে নেয়ার মাধ্যমে  ফরজ পালন করেছিলেন। আর সেটিই ছিলো ইসলামের প্রকৃত বা মূল বৈশিষ্ট্য। তাই সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম দেশে আল্লাহু তায়ালার আইনের বাহিরে মানব রচিত আইন দ্বারা রাজ্য শাসন এবং এতে সমর্থন দেয়ার কোন অনুমতি ইসলামে নেই। তবে অনৈসলামিক বা অমুসলিম রাষ্ট্র হওয়ার কারণে শাসন বা বিচার কার্য কুরআন-হাদিস অনুযায়ী করতে না পারলে (তখন  অমুসলিম বা অনৈসলামিক সরকারের আইন মোতাবেকই রাষ্ট্র  জনগণ সবাইকে মেনে চলতে হবে), তাহলে তওবা-এস্তেগফার করবে এবং কিভাবে ইসলামী রাষ্ট্রে বাস করা যায়সে চেষ্টা  বৈধ তদবীর করতে হবে এবং প্রয়োজনে হিজরত করতে হবে  মনে রাখতে হবে  বিষয়ে হিজরত করা সুন্নাত।

অতএবআমরা যারা আল্লাহু তায়ালা আইন অনুযায়ী বিচার  শাসন কার্য পরিচালনা করতে পারি না বা পারছি নাতাদের একবার ভাবা উচিতরবের নির্দেশ বা ইসলামের হুকুম কীআর আমরা পালন করছি কী এবং কেন এভাবে বিপরীত আমল করছি। আর এর পরিণতিই বা কী হতে পারেইহা কী সরাসরি কুরআন  সুন্নাহকে অপমাণ বা লংঘন নয়একটু চিন্তা-ভাবনা করি যেইসলামী আইন বাস্তবায়নেইসলামী হুকুমত বাস্তবায়নে বা পরিবারসমাজ এবং রাষ্ট্রে  নিজ জীবন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিচার-আচারে ইসলামী আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের ভূমিকা বা আমাদের অংশগ্রহণ কী বা কেমন ছিলো। এতে আপনার আমার প্রাণ কি কেঁদে ছিলোছিলো কি কোন ব্যাথা বা আকুতি (!) ইসলাম অনুযায়ী শাসন বা বিচার কার্য পরিচালনারনা শুধু তাসবীহ হাতেই জপেছি অন্ত:স্বারশূন্য ইবাদতদেখুন  বিষয়ে বেশি দূরে যেতে হবে নাজাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম  ধরনের একটি কথা বলেছেন যেরাসূলের (সা:) অপমাণে যদি কাঁদে না তোমার মনমুসলিম নয়মুনাফিক তুই রাসূলের (সা:) দূষমণ। আর আমাদের বিভিন্ন মূখী অনৈসলামিক এক্টিভিটিজে রাসূল (সা:) অপমাণিত হবেন ইহা স্বাভাবিক।

  তাহলে আমাদের প্রত্যেকের অবস্থান কোথায়আমরা কি তাহলে মুনাফিক!? আমরা কি তাহলে রাসূলের (সা:) দূষমণ!? নাউজুবিল্লাহআস্তাগফিরুল্লাহইয়া আল্লাহু তায়ালা আমাদেরকে হেদায়েত দিন  হেফাজত করুন। আমরাওতো বিভিন্ন অনৈসলামিক  পাপের কার্য করি এবং কুরআন  সুন্নাহ বিপরীত বিভিন্ন অবস্থা অবলোকন করিকই আমাদের প্রাণেতো কোন ব্যাথা অনুভব হয় নাএতে রাসূল (সা:) কি খুশি হন বিষয়ে আমাদের সকলকে চিন্তা-ভাবনা আর গবেষণা করতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি এবং সিদ্ধান্তে উপনিত হতে অনুরোধ করছি যেআমাদের কী করা উচিতআর কী করা উচিত নয়। যেহেতু আমাদের রব আল্লাহ্ এবং আমরা তাঁরই গোলাম  আমরা সকলে মুসলিম সম্প্রদায়েরই দাবীদার।

অপরদিকে  বিষয়ে আরো মেনে চলতে অনুরোধ করছি যেদেখুন প্রত্যেক কাজ (ভালো কাজ হোক বা মন্দ কাজ হোকসম্পাদন  এর ফলাফলসংশ্লিষ্ট  কাজ সম্পাদনকারীর নিয়তের উপর নির্ভর করে। আর তাই বাহ্যত কেউ বা কোন বিচারক বা কোন শাসক আল্লাহু তায়ালার আইনকে বাদ দিয়ে নিজের মন মতো বা প্রশাসকের আইন মোতাবেক বা প্রচলিত সামাজিক নিয়ম অনুযায়ী বিচার বা শাসন কার্য পরিচালনা করে  সে মোতাবেক বিচারের রায় দিয়ে বা প্রচলিত  আদিষ্ট বা বাধ্যগত নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি সমাধান করে বা বাস্তবায়ন করেতবে  শাসক বা বিচারককে বা প্রজাতন্ত্রের যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে বিরুপ মন্তব্য করার  ফিতনা বাধানোর কোন সুযোগ বা কোন কারণ আমাদের নেই (বা ব্যক্তিগত ভাবে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা সমর্থকের ক্ষেত্রেও) কারণ তার নিয়ত কী ছিলো আমরা তা জানতে পারি না। তার নিয়তে কি তার কাজের জন্য অনুশোসনা ছিলোতিনি কি মানসিক ভাবে তার দ্বারা সম্পাদিত  কাজটিকে মেনে নিয়েছেন (?), না যে কোন বাধাভয় বা বিরুপ প্রেসারে পড়ে বা বাধ্য হয়ে অথবা শুধুই প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে অন্তরে ব্যাথা সহ তিনি  কাজটি করছেনহয়তোবা করছেন বা মনে-প্রাণে তার কাজটি তিনি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তার মনের খবর আপনি-আমি কি করে জানবোতাই অযথা তাকে কাফের বা তার ঈমান নেই বা ঈমান চলে গেছে  জাতীয় ভয়ঙ্কর তোহমত গুলো বা যে কোন নেতীবাচক ধারনা করা  তার বিরুদ্ধে এগুলো প্রকাশ করাআমরা তার বিরুদ্ধে  ধরনের ব্যবহার করতে পারি না। কারণ বিষয়টি প্রমাণের ক্ষেত্রে কোন তথ্য-প্রমাণ আমাদের কারো হাতে থাকার কোন সুযোগ নেই। আর  বিষয়টি এমনিতেই খুবই স্পর্শকাতর। সে সাথে আমি আরো বলতে চাই যেএকটি দেশের বা যে কোন প্রশাসনের বা যে কোন বিচারিক কার্যালয়ের  অনৈসলামিক শাসন  বিচারের দায়ভার যে শুধু সংশ্লিষ্ট  শাসক বা বিচারক বহন করবে তা কিন্তু না। কারণ বিচার  বিচারর সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির প্রায় সবগুলিই সামাজিক  রাষ্ট্রীয় বিষয়। এখানে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রশাসক বা বিচারক দায়ী হলেও পরোক্ষ ভাবে  সংশ্লিষ্ট সকল জনগনই দায়ী (যদি  বিষয়ে তাদের কোন মর্ম বেদনা না থাকে)  বিষয়ে আমেরিকার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের বাণীটি আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যেতিনি বলেছেনজনগনের দ্বারা সরকারজনগনের প্রয়োজনে সরকার। তার মানে   জনগনই সরকার। সিমিলার কথা কিন্তু হাদিস শরীফেও রয়েছে যেএকটি দেশের জনগণ যদি অনৈতিকতাঅশ্লীলতা আর জুলুমে পরিপূর্ণ হয়ে যায়তখন জালেম সরকার তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। তাই ইহা সুস্পষ্ট যেইসলাম অনুযায়ী বিচার  শাসন না পাওয়ার পিছনে মূল  প্রথম কারণ আমাদের নিজেদেরই বদআমল আর দূ:চ্চরিত্রতা।  বিষয়ে আমার সাথে তর্ক না করে বলুন-

কে নিষেধ করেছে আপনাকে-আমাকে নামাজ না পড়তে বা জামাতে নামাজ না পড়তে বা প্রয়োজনীয় ইসলামী জ্ঞান অর্জন না করতেকে নিষেধ করেছে আপনাকে হকদার বা পাওনাদারের হক ঠিকমতো না দিতেকে বলেছে রাতভর বিভিন্ন অপকর্ম করতেইত্যাদিইত্যাদি। সরকার বা যে কোন পক্ষীয় শক্তি কি বাধ্য করেছিলো  গুলো করতে?  আমি-আপনি নিজেরাইতো হলাম শয়তানের আখড়া। তাহলে আমাদের সরকারশাসক আর বিচারক হবে কেমন (?), আপনি চিন্তা করুন একটুকে তৈরী করবে (?), আর কে এবং কোথা থেকে নিযুক্ত করবে এসব ইসলামিক শাসক আর বিচারকআকাশ থেকে নিযুক্ত হবেনা  ধরার ধরিত্রী থেকে  আকাশের কোন ফেরেশতানা আমরা নিযুক্ত করবোযাকআমি বিষয়টি নিয়ে এতো গবেষণা করতে ইহা আলোচনা করিনিআমি শুধু  অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কীতা বলতে গিয়ে বিষয়টির আলোকপাত করেছি। কারণআমার আজকের বিষয় হচ্ছে কবীরা গুনাহ সমূহ ধারাবাহিক ভাবে বিবৃত করা। তবুও  বিষয়ে আমার পরামর্শ হলোপ্রথমে প্রত্যেকে নিজকে নিজে খাঁটি ঈমান  আমল ওয়ালা হতে চেষ্টা করুন। নামাজকে শুধু দায়সারা ভাবে আদায় না করেসমাজে নামাজকে প্রতিষ্ঠা করুন। সাধ্যমত সৎ কাজে আদেশ দিনসহযোগিতা করুনআর অসৎ কাজে বাধা দিন। সমাজে যারা অপরের হক মেরে খায়এসব জালেম থেকে মজলুমের হক আদায়ে প্রকাশ্যে  জোরালো ভাবে প্রদক্ষেপ নিন।

আর এভাবে যদি আমাদের গ্রামগঞ্জশহরবন্দর  নগরেরতথা দেশের সকল মুমিন বান্দা খাঁটি মুসলমান হতে পারিঅন্ততপক্ষে সিংহ ভাগও যদি  বিষয়ে এগিয়ে যেতে পারিতাহলে আমাদের শাসকআমাদের বিচারক ইসলামী ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবে এবং আমাদের শাসন  বিচার কার্য চলবে ইসলাম অনুযায়ীইহা স্বাভাবিক  সহজেই অনুমেয়। নিজে জাগ্রত না হয়ে কখনো দেশকে বা জাতিকে জাগ্রত করা যাবে না। আর আমি শুধু আপনাদেরকে বিষয়টি বুঝিয়ে দিলাম এবং আপনাদের কাউকে উগ্রতা বা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে মোড়লি বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে আমি বলিনি। সে সাথে সরকার বা প্রশাসনের কথা অমান্য করতেও আমি বলিনি। দেখুন দেশে আইন রয়েছেসমাজে রীতি-নীতি রয়েছেকখনোই এর বিপরীতে কিছু করতে যাবেন না। অতএব আপনাদের কারো যদি  বিষয়ে কোন মাসআলা বা ইসলামী আইনের প্রয়োজন হয়তাহলে সম্মানিত  গ্রহণযোগ্য মুফতিবৃন্দ থেকে এর সমাধান নিয়ে আসার অনুরোধ করছি। কেবলমাত্র তাঁরাই ইসলামের বা আপনার জীবনের বা সমাজ বা রাষ্ট্রের যে কোন সমস্যার ইসলামী সমাধানের বা ফতোয়া প্রদানের বৈধ  ন্যায্য হকদ্বার। আর কেউ নয়। আমি শুধু বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলাম। দয়া করে আমাকে কেউ ভূল বুঝবেন না।

আজকে  পর্যন্ত । (চলবে)

Post a Comment

0 Comments